বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির মূল্য কমালো ভারত
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৫ AM , আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৫ AM
দেশের বাজারে যখন দেশীয় পেঁয়াজের মজুত বাড়ছে এবং দাম কমছে, তখন ভারত সরকার বাংলাদেশে পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। টনপ্রতি পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য ১০০ ডলার কমানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেনাপোলের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রয়েল ইন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী রয়েল হোসেন।
তিনি জানান, নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার জন্য ভারত রপ্তানি মূল্য কমিয়েছে। বর্তমানে প্রতিটি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ৩০৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগে ছিল ৪০৫ মার্কিন ডলার।
এতে দেশে পেঁয়াজের আমদানি বাড়বে এবং দাম কমবে বলে আশা করছেন আমদানিকারকরা। গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ভারতীয় মূল্য নির্ধারণী সংস্থা এই নতুন রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করে এবং সোমবার (০৬ জানুয়ারি) থেকে এটি কার্যকর হয় বলে বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
এর আগে ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রতিটি টনের জন্য ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ছিল ৪০৫ মার্কিন ডলার। এর নিচে কোনো এলসি গ্রহণ করা হচ্ছিল না। তবে এখন থেকে ৩০৫ মার্কিন ডলারে এলসি গ্রহণ করা যাবে। তবে, রপ্তানি শুল্ক আগের মতোই থাকবে।
বাংলাদেশ-ভারত চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে ভারত সরকার সে দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে মূল্য বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে দেশের বাজারে দাম বেড়ে যায়।
সম্প্রতি দেশে নতুন মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কমেছে এবং ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা কমে গেছে। এই কারণে আমদানিকারকরা অতিরিক্ত দাম দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করে লোকসানে পড়েছেন। ফলে, পেঁয়াজের লোডিং কমিয়ে দেওয়ায় আমদানি হ্রাস পেয়েছে।
বর্তমানে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে, ফলে সে দেশে পেঁয়াজের দাম কমছে। এ কারণে ভারতীয় কৃষকেরা বিক্ষোভ করছেন। এই পরিস্থিতিতে রপ্তানি বাড়াতে ভারত সরকার পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রপ্তানি মূল্য কমানোর ফলে, বর্তমানে ভারত থেকে এক ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি করতে ৫০ হাজার রুপি কম শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। এছাড়া, কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম ২ রুপি কমে গেছে এবং এক ট্রাক পেঁয়াজের এলসি খোলার জন্য আগের চেয়ে ৪ লাখ টাকা কম লাগবে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা দাম কমানোর বিষয়টি শুনেছেন, তবে অফিসিয়ালি কোনো চিঠি পাননি।