এমসিসিআই
দেশের অর্থনীতি কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৩০ PM , আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৩০ PM

অক্টোবর-ডিসেম্বর সময়ে দেশের অর্থনীতি কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে। তবে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ এখনো বিদ্যমান, যেটা অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে বলে জানিয়েছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এমসিসিআই-এর চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক বা ২০২৫-এর দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটিয়ে গত কয়েক মাসে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে চলতি হিসাবের ভারসাম্য আগের তুলনায় উন্নত হয়েছে। তবে মূল্যস্ফীতি, বিনিয়োগ সংকট, রাজস্ব ঘাটতি এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সংকুচিত হওয়ার কারণে অর্থনীতিতে চাপ এখনও অব্যাহত রয়েছে।
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি জানায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধে ৩৪৭ কোটি ডলার ঘাটতির বিপরীতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ে ৩৩ মিলিয়ন ডলারের উদ্বৃত্ত হয়েছে। এটি একটি ইতিবাচক পরিবর্তন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এছাড়া সরকারের আর্থিক হিসাবের উন্নতির ফলে দেশের সামগ্রিক ভারসাম্যের ঘাটতি কমেছে। মূলধন হিসাবের ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় এটি দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি সৃজনশীল পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সংগঠনটি মনে করে, স্থিতিশীল অর্থনৈতিক পরিবেশ বজায় রাখতে রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি, বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নয়ন এবং ব্যাংকিং খাতে আস্থা ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে পারে না। তাই আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর মুদ্রানীতির ফলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হতে পারে বলে মনে করছে এমসিসিআই। দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নতি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি হলে পরবর্তী সময়ে অর্থনীতি আরও সুদৃঢ় হবে। তবে এই ক্ষেত্রে কিছু অবকাঠামোগত পরিবর্তন অপরিহার্য।