ভারতের নিষেধাজ্ঞা; নতুন বাজার খোঁজার পরামর্শ
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২০ মে ২০২৫, ০১:২৮ PM , আপডেট: ২০ মে ২০২৫, ০১:২৮ PM

নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, সীমান্তে পুশইন ও বাংলাদেশি পণ্যে নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে বাংলাদেশকে চাপে রাখতে চাইছে ভারত। তারা মনে করছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে মেনে নিতে না পারার প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্লেষকেরা রপ্তানি পণ্যের বিকল্প বাজার খুঁজে বের করা এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় কৌশলগত অংশীদার গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন।
কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি হামলার মাঝেই, বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে জোর করে মানুষকে ঠেলে দেয় ভারত। ১৫ মে পর্যন্ত ১১ দিনে এভাবে ৩৭০ জন ঢুকেছে। এদের মধ্যে বাংলাদেশি ছাড়াও রোহিঙ্গা আর ভারতের নাগরিকও রয়েছে।
গত শনিবার (১৭ মে) স্থলপথে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাকসহ কিছু পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়। পরদিন প্রতিক্রিয়ায় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘বাণিজ্য একটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়। এতে দুই দেশের ভোক্তা ও ব্যবসায়ীরা জড়িত। এ ধরনের নিষেধাজ্ঞায় উভয় পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এতে ভারতের ব্যবসায়ীদেরও ক্ষতি হবে।’
বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার (অব.) জাহেদুর রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক নীতিবিরোধী এমন পদক্ষেপ দেশের জন্য অশনি সংকেত। তাঁর মতে, বাংলাদেশকে করদ রাজ্যে পরিণত করে রাখার আকাঙ্ক্ষা থেকেই, সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক চাপ তৈরি করছে দিল্লি।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার (অব.) শামীম কামাল বলেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে দিল্লি সহ্য করতে চাইছে না। এসব ঠেকাতে, কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানো এবং জোরালো আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি করতে হবে।
সমতা ও সম্মানবোধের জায়গা থেকে ভারত সম্পর্ক গড়ায় উদ্যোগী হলেই কেবল, দুদেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন কমতে পারে বলে মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা।