বাজেটে ৬ চ্যালেঞ্জ দেখছেন অর্থমন্ত্রী 

বাজেটে ৬ চ্যালেঞ্জ দেখছেন অর্থমন্ত্রী 
  © ফাইল ফটো

জাতীয় সংসদে শুরু হয়েছে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট। বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেল ৩টায় একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশনে বাজেট বক্তৃতার মাধ্যমে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী প্রধান ৬টি চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সংগঠন থেকে বাজেটের ওপর প্রস্তাবনা পেয়েছি। এসব আলোচনা, প্রস্তাবনা ও বিশ্লেষণে আগামী অর্থবছরের বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ উঠে এসেছে। এবারের বাজেটে প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা এবং অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা। গ্যাস, বিদ্যুৎ মূল্যবৃদ্ধিজনিত বর্ধিত ভর্তুকির জন্য অর্থের সংস্থান। বৈদেশিক সহায়তার অর্থ ব্যবহার এবং মন্ত্রণালয়, বিভাগের উচ্চ-অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ে শেষ করা। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের প্রকল্প যথাসময়ে বাস্তবায়ন। অভ্যন্তরীণ মূল্য সংযোজন কর সংগ্রহের পরিমাণ এবং ব্যক্তি আয়করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি করা। সবশেষে টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সন্তোষজনক পর্যায়ে রাখা। 

তিনি বলেন, এ সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের অত্যন্ত কৌশলী হতে হবে। কোনো একটি সমস্যা সঠিকভাবে গেলে তা সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করতে পারে।

এর আগে দুপুরে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পায় ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট। এবারের বাজেটে আকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিন মেয়াদের এটি আ হ ম মুস্তফা কামালের চতুর্থ বাজেট উপস্থাপন। এবারের বাজেটের শিরোনাম নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় পরিবর্তন’।

এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয় গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, নতুন বাজেটে প্রাধিকার পাবে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। এবারের বাজেটে সংগত কারণেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মূল্যস্ফীতি, নিয়ন্ত্রণ, কৃষি, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ, কর্মসংস্থান ও শিক্ষা খাতকে।

২০২১-২২ অর্থবছর বাজেট বরাদ্দ ছিল ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের সম্ভাব্য আকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। সেই হিসাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেটের আকার গত বাজেটের থেকে বাড়ছে ৭৪ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা। 

আগামী অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়ন করতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে চার লাখ ৩৬ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। ফলে ঘাটতি বাজেট (অনুদানসহ) হবে দুই লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। আর দেশে সব পণ্যের দাম বাড়ায় আগামী অর্থবছরের জন্য মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য কিছুটা বাড়িয়ে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ করা হয়েছে।