এক পাসওয়ার্ডে আটকে ইভ্যালির গ্রাহকদের টাকা: পরিচালনা পর্ষদ

ইভ্যালি
ইভ্যালি  © লোগো

এক পাসওয়ার্ডেই আটকে আছে ইভ্যালির গ্রাহকদের অর্থ। প্রতিষ্ঠানটির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কারাবন্দী মোহাম্মদ রাসেলের কাছে বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করার পরেও পাসওয়ার্ড উদ্ধার করা যায়নি। যার ফলে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এ সব কথা জানিয়েছেন।

শুক্রবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা জানান সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। তিনি বলেন, ইভ্যালির মূল সার্ভার সচল না হওয়া পর্যন্ত গেটওয়েতে থাকা প্রায় ২৫ কোটি টাকা ছাড় করবে না ব্যাংকগুলো। পাওনাদারদের সঠিক তথ্য না পাওয়ায় প্রায় ২৫ কোটি টাকার সমপরিমাণ মূল্যের পণ্য থাকলেও তা দেওয়া যাচ্ছে না।

সামসুদ্দিন চৌধুরী আরও জানান, ইভ্যালির শেয়ার হস্তান্তর করতে হলে পরিচালনা বোর্ডের কাছে আসল কাগজপত্র জমা দিতে হবে। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী বর্তমান বোর্ড কাজ করে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি ৷

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বোর্ডের সদস্য সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুব কবীর মিলন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ ও আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।

এই সংবাদ সম্মেলন চলাকালে ইভ্যালির সাবেক সিইও মো. রাসেলের মুক্তির দাবিতে ধানমন্ডিতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে গ্রাহক ও পণ্য সরবরাহকারীদের একাংশ৷ তাদের দাবি সিইও রাসেলকে মুক্তি দিয়ে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ দিলে ইভ্যালি ঘুরে দাঁড়াবে। বর্তমান কমিটি গ্রাহকদের টাকা ফিরিয়ে না দিয়ে ইভ্যালি বন্ধের পাঁয়তারা করছে বলেও অভিযোগ করেন তারা ৷