শেয়ারবাজারে বড় দরপতন

শেয়ারবাজারে বড় দরপতন
দেশের শেয়ারবাজারে বড় দরপতন  © ফাইল ফটো

সরকার বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের ঘোষণা দেয়ার পরদিনই দেশের শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়েছে।শেয়ারবাজারে দেখা দিয়েছে এক ধরনের আতঙ্ক। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ দিনের সর্বনিম্ন দামে বিপুলসংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট বিক্রির আদেশ দেন। ফলে লেনদেন শুরু থেকেই বড় পতনের মধ্যে পড়েছে সূচক।

জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম বাড়ার প্রেক্ষাপটে জ্বালানি সাশ্রয়ে লক্ষ্যে সোমবার (১৮ জুলাই) সারাদেশে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং করা বা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় সরকার। সেইসঙ্গে সপ্তাহে একদিন পেট্রল পাম্প বন্ধ রাখা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

লোডশেডিং নিয়ে সরকারের এমন সিদ্ধান্ত আসার পর সোমবার শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ৮৭ পয়েন্ট কমে যায়। ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়ে ২৭৫ প্রতিষ্ঠানের।

এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার শেয়ারবাজার খুলতেই বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ দিনের সর্বনিম্ন দামে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট বিক্রির আদেশ দিতে থাকেন। ফলে সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়ে।

এমন ক্রেতা সংকট দেখা দেয়ায় লেনদেনের ১০ মিনিটের মধ্যে ডিএসই প্রধান মূল্যসূচক ৫০ পয়েন্টের ওপরে পড়ে যায়। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে পতনের মাত্রা।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টা ৩০ মিনিটে ডিএসইতে মাত্র ৩০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩২৪টির। আর ১৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ৭৬ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৩৩ পয়েন্ট কমে গেছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ১৯ পয়েন্ট কমেছে। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৫১ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ৪ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১৩১ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৯টির, কমেছে ১১৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬টির।

শেয়ারবাজারে এমন দরপতন দেখা দেওয়ার কারণ হিসেবে ডিএসইর একাধিক সদস্য বলেন, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকার এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এ কারণে অনেকে শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়িয়েছেন। আর বিক্রির চাপ বাড়ায় শেয়ারবাজারে বড় দরপতন দেখা দিয়েছে।