৩৮২ কনটেইনার পচনশীল পণ্য ধ্বংস করছে চট্টগ্রাম কাস্টমস
- মোমেন্টস রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:১৫ PM , আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:১৫ PM

নির্ধারিত সময়ে খালাস না হওয়ায় নিলাম অযোগ্য ৩৮২ কনটেইনার পণ্য ধ্বংস করছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। এর মধ্যে রয়েছে- পেঁয়াজ, আদা, আপেল, ড্রাগন ফল, কমলা, আঙুর, হিমায়িত মাছ, মহিষের মাংস, মাছের খাদ্য, লবণ, রসুন, সানফ্লাওয়ার অয়েল, কফি ইত্যাদি।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে নগরের হালিশহর আনন্দবাজারে সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং স্টেশনের পাশের একটি জায়গায় গর্ত খুঁড়ে ফেলা হচ্ছে পচা পণ্যগুলো।
দুটি শক্তিশালী ক্রেন ও বেশকিছু স্ক্যাভেটর দিয়ে দ্রুত কাজ শেষ করছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। পচনশীল পণ্যগুলো চট্টগ্রামে ধ্বংস করা হলেও রাসায়নিক পণ্য ধ্বংস করা হবে সিলেটে। এর জন্য পৃথক একটি কমিটি রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরে থাকা ১৩৬টি রেফার (শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত) কনটেইনার, ৩২টি ড্রাই কনটেইনার এবং বন্দরের বাইরে বেসরকারি আইসিডিগুলোতে ২১৪ কনটেইনার ড্রাই পণ্য ধ্বংস করা হচ্ছে। এসব পণ্য ধ্বংস কার্যক্রমে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সিএমপির প্রতিনিধি, বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি, বিজিবি, পরিবেশ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।
কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার সন্তোষ সরেন বলেন, খালাস না হওয়ায় পচনশীল পণ্যগুলো দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম বন্দরে ও আইসিডিগুলোতে পড়ে ছিল। এছাড়া কিছু রেফার কনটেইনারে পচনশীল পণ্য ছিল। খালাস না হলেও নিয়ম মোতাবেক এসব কনটেইনারে বাধ্যতামূলকভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে রাখতে হতো। এতে বিদ্যুতের অপচয় হতো।
তিনি আরও বলেন, এখন কনটেইনারগুলোর পণ্য ধ্বংস হয়ে গেলে, বন্দরের জট কমে আসবে। বিদেশি শিপিং এজেন্টগুলোর সঙ্গে দেন-দরবারও কেটে যাবে। বিদ্যুতের অপচয়ও বন্ধ হবে। প্রতিদিন ২৫-৩০টি কনটেইনারের পণ্য ধ্বংস করার পরিকল্পনা রয়েছে।