১৪ বছর পর গ্র্যাজুয়েট শেষ করে সাকিব বললেন, ‘টেস্ট খেলার অনুভূতি হচ্ছে’
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৩, ০৫:২১ PM , আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৩, ০৭:৪৩ PM

গ্র্যাজুয়েট হওয়ার দিনে মঞ্চে এসে আবেগেঘন হয়ে পড়েছিলেন সাকিব। নিজের টেস্ট ক্যাপ পাওয়ার সময়টার মতোই এই মুহূর্তটা তার কাছে বিশেষ বলে জানিয়েছেন তিনি।
সাকিব বলেন, 'আমি দীপু আপার (শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি) অনেক বিতর্ক দেখেছি। কারণ আমি বক্তৃতা ভালো দিতে পারি না। প্রশ্ন-উত্তর আমি ভালো পারি। বক্তব্য দিতে এসে তাই আমি খুবই নার্ভাস। (সমাবর্তনের হ্যাট দেখিয়ে) টেস্ট ম্যাচে যখন অভিষেক হয়েছিল, ক্যাপটা যখন পেয়েছিলাম ঠিক সেই অনুভূতি হচ্ছে আজকে।'
পড়াশোনা বিষয়ে সাকিব আল হাসান বলেন, '২০০৯ সালের দিকেও আমার যখন জাতীয় দলে আমার ক্রিকেট খেলার ৩ বছর হয়ে গেছে তখনো আম্মা যখন ফোন করতো প্রথম কথাই জিজ্ঞাস করতো, 'পড়াশোনার কি অবস্থা?' আজকে আমি খুবই খুশি, আনন্দিত ও গর্বিত যে শেষ পর্যন্ত আমার এই স্বপ্ন পূরণ হলো। খেলার মাঠে হয়তো আমার বেশকিছু অর্জন আছে। কিন্তু এটা সবসময় আমার স্বপ্ন ছিল।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন সাকিব। জানালেন তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে সকলেই। তিনি বলেন, 'আমার সকল কোর্স শিক্ষকদের আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। তাদের সমর্থন ছাড়া এটা সম্ভব হতো না।'
২০০৯-১০ সেশনে ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (বিবিএ) ভর্তি হয়েছিলেন সাকিব। ১৪ বছর পর গ্র্যাজুয়েট হলেন ক্রিকেট মাঠের এই অলরাউন্ডার।
সাবিলা নূরের অনন্য অর্জন
অভিনয়ের নিজের জাতি চিনিয়েছেন আগেই। এবার অ্যাকাডেমিক পড়াশোনায় কৃতিত্বের ছাপ রাখলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূর। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এআইইউবি) থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন তিনি। ইংরেজি সাহিত্যে সিজিপিএ ৪ পয়েন্টের মধ্যে পেয়েছেন ৩ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট।
রবিবার (১৯ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১তম সমাবর্তনে তাকে ‘ড. আনোয়ারুল আবেদিন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ এ ভূষিত করা হয়েছে। তাকে সম্মাননা স্মারকটি পরিয়ে দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
অভিনয়ের পাশাপাশি পড়াশোনায় এই অনন্য অর্জনে দারুণ আনন্দিত সাবিলা। নিজের এই অর্জনে গর্বিত তিনি। অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার এই অর্জনে আমি নিজেকে নিয়ে গর্বিত। কারণ আমি জানি অভিনয়ের পাশাপাশি কতটা কষ্ট করে পড়াশোনা করেছি। কত নির্ঘুম রাত কাটিয়ে আমাকে অধ্যয়ন করতে হয়েছে।’
প্রথমে ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্রী ছিলেন না সাবিলা। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (বিবিএ) ভর্তি হয়েছিলেন। তারপর নাটকীয়ভাবে হঠাৎ করেই বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয় পরিবর্তন করে ফেলেন তিনি। ব্যবসায় প্রশাসনের ছাত্রী হয়ে যান ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষার্থী।
তার এই সিদ্ধান্ত যে মোটেও সহজ ছিল না সেটাও ফুটে ওঠে অভিনেত্রীর জবানবন্দিতে। হজম করতে হয়েছে মন্দবাক্যও। সাবিলার কথায়, ‘এটা ছিল আমার জন্য কঠিন একটা ব্যাপার। আমি অজস্র কটাক্ষের মুখে পড়েছি, কটূ কথা শুনতে হয়েছে। যারা আমার সমালোচনা করেছেন তাদের জন্য আমার উপকার হয়েছে। আমার মধ্যে জেদ চেপে গিয়েছিল। ফলে আমি শত কষ্টেও মুখ ডুবিয়ে পড়াশোনা করেছি।’
নিজের এই ফলাফলে উচ্ছ্বসিত সাবিলা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সহপাঠি, বিভাগীয় শিক্ষক, বাবা-মা ও স্বামী নেহালের প্রতি। সকলের সহযোগিতায় তার এই অর্জন সম্ভব হয়েছে বলেও জানান অভিনেত্রী। সবশেষে নিজের প্রিয় বিদ্যাপীঠ (এআইইউবি)-কেও ধন্যবাদ জানান সাবিলা নূর।