ঢাবির পরীক্ষায় ছাত্রীদের মুখ-কান খোলা রাখার নোটিশ স্থগিত করল হাইকোর্ট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগের পরীক্ষা চলাকালীন ছাত্রীদের মুখ ও কান খোলা রাখার নির্দেশনা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে বিভাগটির এ নির্দেশনা কেন অবৈধ নয় সে মর্মে রুল জারি করেছেন আদালত।

চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে শিক্ষা সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ছাত্রীদের পক্ষে রিট দায়ের করেন আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ। 

এক ফেসবুক পোস্টে আইনজীবী ফয়জুল্লাহ লিখেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কান সহ মূখমন্ডল খোলা রাখার নির্দেশ সম্বলিত নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে দায়ের কৃত রিট পিটিশনটি শুনানিতে মাননীয় বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের এবং মাননীয় বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর ডিভিশন বেঞ্চ উক্ত সার্কুলার কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন এবং উক্ত সার্কুলারের কার্যকারিতা ৬ মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছেন।’

তিনি আরও লিখেন, ‘সংবিধানের আর্টিকেল ৪১ উল্লেখ করে আদালত মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধুর সেক্যুলারিজম এবং অন্য সেক্যুলারিজম এর পার্থক্য ই হলো বাংলাদেশের সংবিধানে সকল ধর্মের মানুষের ধর্ম পালনের স্বাধীনতা রয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত ১১ ডিসেম্বর বাংলা বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলা বিভাগের প্রতি ব্যাচের সংযোগ ক্লাস, মিডটার্ম পরীক্ষা, চূড়ান্ত পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীর পরিচয় শনাক্ত করার জন্য কানসহ মুখমণ্ডল দৃশ্যমান রাখতে হবে। এ সিদ্ধান্ত শিক্ষকগণ ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের অবহিত করেছেন।

কিন্তু লক্ষ করা যাচ্ছে, কোনো কোনো শিক্ষার্থী এ সিদ্ধান্ত পালনে শৈথিল্য দেখাচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ ডিসেম্বর বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ১৮ সেপ্টেম্বর গৃহীত সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে যারা পালন করবে না, তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ নোটিশের পর ওই বিভাগের তিন শিক্ষার্থী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।