প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের প্রতিবাদ

শিক্ষক
সংগঠনটির বিবৃতি  © সংগৃহীত

সম্প্রতি জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত একজন দিনমজুরের মন্তব্য ‘আমাগো মাছ মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগবো’ শীর্ষক প্রতিবেদনে একজন শিশুর ছবি ব্যবহার করাকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। এই প্রতিবেদনের পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন সংগঠন বিবৃতি দেয়।

এবার এই প্রতিবেদনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। আজ রবিবার ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে স্বাধীনতা-উত্তরকালে একটি দেশি চক্র ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তাদের পৃষ্ঠপোষকগণ দেশবিরোধী অপতৎপরতা চালাচ্ছে। এর প্রমাণস্বরূপ জাতির জনকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, স্বপরিবারে হত্যার মত ঘটনাকে ইনডেমনিটি দেয়া, দেশে সামরিক শাসন আনয়ন, ইতিহাস বিকৃতি, জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়ে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেয়ার মত অপচেষ্টা দেখতে পাই। কিন্তু জাতির জনকের কন্যার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সারা বাংলার জনসাধারণ বিগত বছরগুলোতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল দেশ বিরোধী সকল চক্রকে প্রতিহত করে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে সফলভাবে দমন করতে পেরেছে।’

এতে বলা হয়, ‘একটি মহলের বিরোধীতা ও ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে পদ্মাসেতু নির্মাণসহ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও মুক্তির জন্য বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। দেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ করেছে। বিভিন্ন শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠা ও অবকাঠামো উন্নয়নে দেশ আজ বিশ্ব দরবারে বিশেষ মর্যাদা অর্জন করে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এমনই পরিস্থিতিতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে একটি নিষ্পাপ শিশুকে সামনে রেখে স্বাধীনতা অর্জনকে কটাক্ষ করে একটি বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করা হলো।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই মিথ্যা, অপপ্রচার ও জাতির জন্য অপমানজনক বিষয়ে যখন রাষ্ট্রীয় আইনে ব্যবস্থা গৃহিত হচ্ছে, তখনই দেশি কুচক্রীদের প্ররোচণায় একটি আন্তর্জাতিক মহল এ দেশের আইন প্রয়োগ সংক্রান্ত ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে, যা সার্বিক অর্থে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি চক্রান্তের গভীর ইঙ্গিত বহন করে। আমরা এহেন ঘটনার সাথে রাষ্ট্র বিরোধী কুশীলবদের ষড়যন্ত্রের কোন সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখে সুষ্ঠু বিচারের জোর দাবি জানাচ্ছি।’