পাসের হার কম হওয়ার কারণ জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী
  © বিবিসি (ফাইল ছবি)

পূর্ণ নম্বরে পরীক্ষা হওয়ায় গত বছরের তুলনায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তবে করোনাপূর্ব সময়ের সাথে মেলালে ফলাফল ইতিবাচক বলে জানান তিনি।

রবিবার (২৬ নভেম্বর) এইচএসসির ফল প্রকাশ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব বলেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি জানান, ২৭ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরীক্ষার ফলাফল পূনর্মূল্যায়নের সুযোগ থাকবে।

এসময় ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জিম্মি করে রাজনীতি না করার আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে একক ভর্তি পরীক্ষার বিষয়টি এখনও পর্যালোচনা করছে সরকার। এবছর না হলে পরের বছর হবে বলেও জানান তিনি।

দীপু মনি বলেন, কোচিং ব্যবসায় জড়িত এবং নোট গাইড ব্যবসায়ী চক্রই নতুন কারিকুলাম নিয়ে অনলাইনে অপপ্রচার চালিয়ে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।  প্রকাশিত ফলে এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষাবোর্ডে গড় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। সেই হিসাবে এবার পাসের হার ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ কমেছে। একইসঙ্গে কমেছে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও। এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় অর্ধেকে নেমেছে।

এবার দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সাড়ে ১৩ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯২ হাজার ৩৬৫ জন। গেল বছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন। সেই হিসাবে এ বছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৮৩ হাজার ৯১৭ জন।