বিতর্কের জেরে ‘শরিফার গল্প’ খতিয়ে দেখতে টিম গঠন করল শিক্ষা মন্ত্রণালয়

শরিফার গল্প
  © সংগৃহীত

নতুন শিক্ষাক্রমে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিকবিজ্ঞান বইয়ে মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা অধ্যায়ের 'শরিফার গল্প' শিরোনামে গল্প নিয়ে বিতর্ক খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আব্দুর রশীদকে কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর মুফতি মাওলানা কফিল উদ্দীন সরকার, এনসিটিবির সদস্য মশিউজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআরের পরিচালক অধ্যাপক আবদুল হালিম এবং ঢাকা আলীয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ প্রমুখ।

পাঁচ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ এ কমিটি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে (এনসিটিবি) গল্পটি পর্যালোচনায় সার্বিক সহায়তা করবে।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ জানুয়ারি রাজধানীতে এক সেমিনারে জাতীয় শিক্ষাক্রমের সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ‘শরীফ থেকে শরীফা’ শীর্ষক গল্পের দুটি পৃষ্ঠা ছিড়ে ফেলে আলোচনায় আসেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎস। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ওই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডারের গল্প ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাই করা হচ্ছে। এ সময় তিনি এই পাঠ্যবই থেকে ‘শরীফ থেকে শরীফা’ হওয়ার গল্পের পাতা ছিঁড়ে ফেলেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আসিফ মাহতাবের এমন কর্মকাণ্ডের কারণে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। এরই অংশ হিসেবে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এর পর থেকে গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়।

এসব বিষয়ে মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছিলেন, পাঠ্যবইয়ে ‘শরীফা’ গল্পটির উপস্থাপনে যদি কোনও বিতর্ক বা বিভ্রান্তি হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন আনা যেতে পারে। তবে দেশে ধর্মকে ব্যবহার করে একটি গোষ্ঠীর অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির প্রবণতা রয়েছে।