তুরস্ক সরকারের বৃত্তির আবেদন চলছে, আবেদন করবেন যেভাবে
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৭ PM , আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৭ PM

ঐতিহাসিকভাবে সমৃদ্ধশালী দেশ তুরস্ক। ইউরোপ ও এশিয়ার মাঝামাঝি অবস্থিত দেশটির সরকার বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিবছর আকর্ষণীয় কিছু বৃত্তির সুযোগ দিয়ে থাকে। এরমধ্যে অন্যতম হলো তুরস্ক সরকারি বৃত্তি বা তুর্কিয়ে বুরস্লারি।
মূলত মেধাবী বিদেশি শিক্ষার্থীদের সে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ করে দিতে বৃত্তিটি দেওয়া হয়। এই বৃত্তির আওতায় মাসিক উপবৃত্তি ছাড়াও ফ্রি টিউশন ফি, রিটার্ন ফ্লাইট টিকিট, স্বাস্থ্যবিমা, বাসস্থানসহ বিভিন্ন খরচ বহন করে তুরস্ক সরকার।
বৃত্তিতে থাকছে যেসব সুবিধা
ফ্রি টিউশন ফি, মাসিক উপবৃত্তি, স্বাস্থ্যবিমা, বাসস্থান, আসা-যাওয়ার বিমান টিকিট, এক বছরের তুর্কি ভাষাশিক্ষা কোর্স।
মাসিক উপবৃত্তির পরিমাণ
আন্ডারগ্র্যাজুয়েট: প্রতি মাসে ৩ হাজার ৫০০ তুর্কি লিরা (প্রায় ১২ হাজার ৬০০ টাকা)।
মাস্টার্স: প্রতি মাসে ৫ হাজার তুর্কি লিরা (প্রায় ১৮ হাজার ১০০ টাকা)।
পিএইচডি: প্রতি মাসে ৬ হাজার ৫০০ তুর্কি লিরা (প্রায় ২৩ হাজার ৫০০ টাকা)।
ভাষা: ইংরেজি বা তুর্কি ভাষায় দক্ষতা থাকতে হবে।
জাতীয়তা: তুর্কি নাগরিক বা যারা তুর্কি নাগরিকত্ব হারিয়েছেন, তারা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন না। এছাড়া অন্য যেকোনো দেশের নাগরিকেরা আবেদন করতে পারবেন। তবে তুরস্কের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত কোনো শিক্ষার্থী এই বৃত্তির জন্য বিবেচিত হবেন না।
একাডেমিক স্কোর
স্নাতক: ন্যূনতম ৭০ শতাংশ, মাস্টার্স এবং ডক্টরেট: ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান (মেডিসিন, ডেন্টিস্ট্রি ও ফার্মেসি): ন্যূনতম ৯০ শতাংশ।
বয়সসীমা
আন্ডারগ্র্যাজুয়েট: ২১ বছরের কম, মাস্টার্স: ৩০ বছরের কম, ডক্টরেট: ৩৫ বছরের কম।
আবেদন করতে যা যা লাগবে
যেকোনো একটি বৈধ পরিচয়পত্র অথবা পাসপোর্ট, সাম্প্রতিক সময়ে তোলা আবেদনকারীর একটি ছবি, জাতীয় পরীক্ষার ফলাফল (যদি থাকে), ডিপ্লোমা অথবা অস্থায়ী পরীক্ষার সার্টিফিকেট, ট্রান্সক্রিপ্ট, আন্তর্জাতিক পরীক্ষার ফলাফল (GRE, GMAT, SAT ইত্যাদি) যুক্ত করতে হবে যদি নির্ধারিত বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চেয়ে থাকে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ভাষাগত দক্ষতার (TOEFL, DELF) সনদ।
আরও পড়ুন: আমদানির খবরে কমছে আলুর দাম, লোকসান গুনছে কৃষক
পিএইচডি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে একটি গবেষণার প্রপোজাল এবং প্রার্থী ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছেন- এমন একটি গবেষণার প্রমাণ দাখিল করতে হবে।
বৃত্তির জন্য আন্ডারগ্র্যাজুয়েট, মাস্টার্স ও পিএইচডির বিষয়ে আবেদন করা যাবে। বিভিন্ন প্রকৌশল ক্ষেত্রসহ (কম্পিউটার, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং) বায়োকেমিস্ট্রি, জীববিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, খাদ্য প্রকৌশল, গণিত, মেডিসিন ও আরও হাজারের বেশি প্রোগ্রাম।
আবেদনের শেষ তারিখ: ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
আবেদন ও বিস্তারিত তথ্যের জন্য এখানে ক্লিক করুন