এসএসসির ফল

১০ শিক্ষক পড়িয়েও পাস করাতে পারেননি ৯ পরীক্ষার্থীকে

এসএসসি
  © ফাইল ছবি

এ বছর কিশোরগঞ্জে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ। জেলায় ৪৪৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। তারমধ্যে জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলা চরফরাদী ইউনিয়নের চরতেরোটেকিয়া মৌজা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শতভাগ ফেল করেছে। এ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল ৯ জন। পাকুন্দিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৯০ সালে পাঠ দানের স্বীকৃতি পায় চরতেরোটেকিয়া মৌজা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয় থেকে এ বছর মানবিক বিভাগে ৮ ও ব্যবসায়িক বিভাগে ১ জনসহ মোট ৯ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। গত রোববার (১২ মে) প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, এ বিদ্যালয়ের শতভাগ পরীক্ষার্থীই ফেল করেছেন। গত বছরে এ প্রতিষ্ঠান থেকে ১৩ জন এসএসসি পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১১ জন পাস করেন। বর্তমানে ওই প্রতিষ্ঠানটিতে ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ১৫০ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে প্রধান শিক্ষকসহ মোট শিক্ষক রয়েছেন ১০ জন। আগামীতে আবার যদি এমন ফলাফল হয় তা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন অভিভাবকরা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ফিরিয়ে আনতে আমাদের প্রচণ্ড বেগ পেতে হচ্ছে। তারপরও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যেন ভবিষ্যতে যেন এমনটা আর না হয় সেজন্য আমরা সচেতন থাকবো।

পাকুন্দিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক শতভাগ ফেলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব স্কুলের বেতন বন্ধ হওয়া দরকার। শিক্ষকরা নিজেদের মতো করে প্রতিষ্ঠান চালায়। ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠ দানের বিষয়ে তারা অমনোযোগী। যার জন্য এমন ফলাফল।

জেলা শিক্ষা অফিসার শামছুন নাহার মাকছুদা জানান, জেলায় এবার ৪৪৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩৮ হাজার ৬৮৬ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তার মধ্যে ২৯ হাজার ৯২১জন শিক্ষার্থী পাস করে। তার মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ হাজার ৯৩৬জন। গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আর ফেল করেছে ৮ হাজার ৭৬৫ জন। তবে দুঃখের বিষয় জেলা পাকুন্দিয়ায় চরতেরোটেকিয়া মৌজা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টিতে নয় জন শিক্ষার্থীর মধ্যে একজনও পাস করেনি। এ ব্যাপারে খতিয়ে দেখবেন বলে তিনি জানান।