আন্দোলনে রেসিডেসিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী নিহত; বিচার চাইলেন মা

কোটা
  © সংগৃহীত

রাজধানীতে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের এক শিক্ষার্থী ফারহান নিহত হয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) আন্দোলনে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিটি হাসপাতালের সহকারী ব্যবস্থাপক ওসমান গণি।

এদিকে নিহত ফারহানকে হারিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন মা। তিনি লিখেন, "দিস ইজ মাই ফারহান ফায়েজ, হি ইজ ডেড নাউ, আই ওয়ান্ট জাস্টিস" (এটা আমার ফারহান, সে এখন মৃত, আমি এর বিচার চাই)।

পুত্রহারানো মায়ের ওই পোস্ট মুহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকই মাকে সমবেদনা জানাচ্ছেন। অনেকেই ফারহান ফায়েজের জন্য দোয়া করছেন।

এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ইস! কি কস্ট।এটা সহ্য করা যায় না। ইন্না-লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।

অন্য আরেকজন লিখেছেন, সে মারা যায়নি, সে শহীদ।

এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পূর্বঘোষিত কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির অংশ হিসেবে উত্তরা-আজমপুর এলাকায় সড়ক অবরোধ করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় গুলিতে শিক্ষার্থী-পথচারীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ কুয়েতমৈত্রী হাসপাতালে রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে হাসপাতালটিতে আহত হয়ে আরও শতাধিক ব্যক্তি চিকিৎসা নিতে এসেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেলে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট মিজানুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আহত হয়ে প্রায় অর্ধশত মানুষ আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। তাদের মধ্যে চারজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।

এদিকে উত্তরা-আজমপুর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানিয়েছে, সংঘর্ষে প্রায় ২০০ জনের বেশি গুলিবিদ্ধ হয়ে সেখানে গেছে এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের মধ্যে যারা গুরুতর, তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।