যেদিন থেকে চলতে পারে মেট্রোরেল
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৪, ০৫:১৮ PM , আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২৪, ০৫:১৮ PM
বৈষম্য দূরীকরণে ছয় দফা দাবি আদায়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি থেকে কাজে ফিরছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) সাত শতাধিক কর্মচারী। তাই আগামী রোববার (২৫ আগস্ট) থেকে মেট্রোরেল পরিচালনা করতে পারে প্রতিষ্ঠানটি।
আজ মঙ্গলবার সকালে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক মেট্রোরেলের সচিবালয় স্টেশন পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মেট্রোরেল অতি দ্রুত চালুর বিষয়ে আলোচনা করেন এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা নোবেল দে স্বাক্ষরিত চিঠিতে এসব তথ্য জানানো হয়। চিঠিতে রোববার থেকে মেট্রোরেল চলাচলের আশাবাদও ব্যক্ত করা হয়।
তবে মেট্রোরেল চালু হলেও মেরামত ও সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা থাকায় আপাতত কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি সচিব এ দুটি স্টেশনের কার্যক্রম চালুর বিষয়েও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেন। এ সময় মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিকসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত রোববার সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সাত দিনের মধ্যে মেট্রোরেল চালু হওয়ার আশ্বাস দেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। ওই দিন বিকেল ৫টায় মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এর পরদিন মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুর করা হয়। এতে প্রাথমিকভাবে ৩০০ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতির কথা বলা হলেও পরে এর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখন বলা হচ্ছে ৫০ কোটিরও কম।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরেই মেট্রোরেল চালু করার বিষয়ে মত দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দুই দফায় মেট্রোরেল চালু করার বিষয়ে ডিএমটিসিএল কর্মকর্তারা সায় দিলেও তাতে বাঁধ সাধেন সাধারণ কর্মচারীরা।
তারা দাবি করেন, সব গ্রেডে একই রকম বেতন কাঠামো প্রবর্তন করতে হবে। জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ এর ২ দশমিক ৩ গুণ হারে যোগদানের তারিখ থেকে বকেয়াসহ দিতে হবে।
মেট্রোরেল কর্মীদের অন্য দাবিগুলো ছিল—চাকরিতে যোগদানের তারিখ থেকে বকেয়াসহ সেন্ট্রাল প্রভিডেন্ট ফান্ড (সিপিএফ) সুবিধা; অন্যান্য সব সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি ও অন্যান্য দেশের মেট্রোর পদ্ধতির সঙ্গে সমন্বয় করে পদোন্নতির ব্যবস্থা চালু; সব ধরনের ভাতা সংবলিত সার্ভিস রুলস দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রদান; শিক্ষানবিশকাল শেষে স্থায়ীকরণ; স্টেশন ও ডিপোসহ সব স্থানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাসহ পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ; কর্মক্ষেত্রে স্বৈরাচারী মনোভাব ও বৈষম্যমূলক আচরণ এবং ব্যক্তিগত আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ ঘটানো যাবে না।
আন্দোলনরত কর্মীদের এসব দাবি কর্তৃপক্ষ মেনে নেওয়ায় ডিএমটিসিএলের কর্মীরা মঙ্গলবার থেকে কাজে ফিরছেন বলে জানান ডিএমটিসিএলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।