কোন প্রক্রিয়ায় চলবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের পাঠদান?

প্রাথমিক
  © ফাইল ফটো

নতুন কারিকুলাম বাতিল হলেও আগামী বছর থেকে ঠিক কী প্রক্রিয়ায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। অভিভাবকরা বলছেন, বিদ্যমান কারিকুলাম সংশোধন করে লিখিত পরীক্ষায় জোর দিতে হবে। আর নতুন কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের পরামর্শ শিক্ষাবিদদের।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে থেকেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে চালু হওয়া নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছেন অভিভাবক ও শিক্ষাবিদসহ বিভিন্ন অংশীজন। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি শেখ হাসিনা সরকার। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণদাবি আমলে নিয়ে সমালোচিত কারিকুলাম বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।‌ আগামী বছর থেকেই পুরনো কারিকুলামে ফেরার ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে।তবে ঠিক কী ধরনের কারিকুলামে আগামী বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হবে, তা এখনও অস্পষ্ট।

কারিকুলাম সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত অভিভাবকরা বলছেন, নতুন কারিকুলামের ইতিবাচক কিছু দিক রেখে বাকিটা পুরনো কারিকুলাম থেকে নেয়া যেতে পারে। বিশেষত‌ শিখনকালীন মূল্যায়ন বা প্রাকটিক্যাল কার্যক্রমের পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষায় আরো বেশি জোর দেয়ার দাবি তাদের।

কারিকুলাম প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় সর্বজন স্বীকৃত শিক্ষাবিদ ও সব অংশীজনের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে নতুন কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের পরামর্শ দিলেন শিক্ষবিদ অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল। তিনি বলেন, ‘শিক্ষকদের যেসব প্রশিক্ষণ দরকার তার যথেষ্ট ব্যবস্থা না করেই আমরা অনেক ক্ষেত্রে কিছু বিষয় প্রবর্তন করেছি। এ রকম অনেক সমস্যা আছে। এসব চিহ্নিত করে তা মোকাবিলা করা জরুরি ‘

এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম নতুন কমিশন গঠনের কথা জানিয়ে বলেন, তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষার নতুন কাঠামো নিয়ে পরামর্শ দেবেন, যেটা দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে বাঁচাতে কাজ করবে। এছাড়া, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা যাতে বিপর্যয়ের দিকে না যায়, সেদিকে নজর দিতে হবে।  

সম্প্রতি জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে, শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।