ঢাবিতে সিট দখল নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের হট্টগোল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলের সিট দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হট্টগোল, ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (৫ জুন) রাত ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত প্রায় দুই ঘণ্টা সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক মিশাত সরকারের অনুসারীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, এসএম হলের দু’তলার ২২নং রুমে একটি ফাঁকা সিটে নিজ গ্রুপের শিক্ষাথী উঠানো নিয়ে হট্টগোল, ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতিতে জড়ায় দুই গ্রুপ। ওই রুমে একটি সিট ফাঁকা হলে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর শিকদার তার অনুসারী একজনকে তোলেন। পরে হল শাখা সাধারণ সম্পাদক মিশাত সরকার একই সিটে তার নিজের এক অনুসারীকে তুলতে চান। এ সময় তানভীরের কর্মীদের সাথে বাগবিতণ্ডায় জড়ায় মিশাতের গ্রুপের কর্মীরা। 

উভয়পক্ষের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী হলের পূর্ব অংশের দু’তলার ২ নং কক্ষের সামনে গিয়ে অবস্থান নিয়ে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ধাওয়া দেয়। এক পর্যায়ে হট্টগোল, ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতি শুরু হয়। দুই ঘণ্টা ধরে উত্তেজনা শেষে  হল ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গিয়ে তাদের সমর্থকদের শান্ত করেন।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর শিকদার বলেন, এ সিটে আগে থেকেই আমার গ্রুপের একজন থাকতো। হঠাৎ করে সেক্রেটারি গ্রুপের অনুসারীর দাবি করছে, এটা তাদের সিট। তারা ওই শিক্ষার্থীকে নামিয়ে দিয়ে ওখানে আরেকজনকে উঠানোর চেষ্টা করে। এটা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে।

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিশাত সরকার বলেন, এ সিটে আগে থাকতো মাসুদ রানা। সে চলে যাওয়ার পর সেটি আমাদেরকে দিয়ে গেছে। কিন্তু ওরা জোরপূর্বক ওখানে আরেকজন উঠিয়ে দেয়। এটা নিয়ে জুনিয়রদের মধ্যে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে।

হল প্রভোস্ট অধ্যাপক মো. মজিবুর রহমান ছুটিতে থাকায় মো. বেলাল হোসেন ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্বে আছেন। ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি হলে গিয়েছিলাম। দুই গ্রুপের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করা হয়েছে।