ঈদুল আজহা
মাধ্যমিক স্কুলে ছুটি রোববার থেকে, কলেজে সোমবার
- মোমেন্টস রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২২, ০৪:১২ PM , আপডেট: ০১ জুলাই ২০২২, ০৪:১২ PM

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে আগামী রোববার (৩ জুলাই) থেকে ছুটি শুরু হচ্ছে। আর সরকারি-বেসরকারি কলেজে ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হচ্ছে আগামী সোমবার (৪ জুলাই)। অপর দিকে মাদরাসায় ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হচ্ছে শনিবার (২ জুলাই) থেকে।
শুক্রবার (১ জুলাই) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বার্ষিক ছুটির তালিকা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বার্ষিক ছুটির তালিকা থেকে জানা গেছে, আগামী ৩ জুলাই থেকে সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে ছুটি শুরু হয়ে ১৯ জুলাই পর্যন্ত চলবে। মাধ্যমিক স্কুলগুলো ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ উপলক্ষে ১৫দিন বন্ধ থাকবে। সরকারি-বেসরকারি কলেজের ছুটির তালিকা অনুসারে, এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে ঈদের ছুটি ৪ জুলাই (সোমবার) থেকে শুরু হয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত চলবে। পরদিন শুক্রবার হওয়ায় ১৬ জুলাই (শনিবার) থেকে সরকারি-বেসরকারি কলেজে ক্লাস শুরু হবে।
আর মাদরাসার ঈদের ছুটি শুরু হচ্ছে শনিবার (২ জুলাই) থেকে। মাদরাসার ছুটি শেষ হবে ১৪ জুলাই। পরদিন শুক্রবার হওয়ায় ১৬ জুন (শনিবার) থেকে মাদরাসায় ক্লাস শুরু হবে।
এর আগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার থেকে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন, ঈদুল আজহা ও আষাঢ়ি পূর্ণিমা উপলক্ষে ২৮ জুন থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত মোট ১৯ দিন পাঠাদানবন্ধ থাকবে। শনিবার (২৫ জুন) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অফিস আদেশ প্রকাশিত হয়।
আরও পড়ুন: বন্যাদুর্গত এলাকার তথ্য চেয়েছে মাউশি
সেখানে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০২২ সালের ছুটি তালিকায় গ্রীষ্মকালীন ছুটি ১৬ থেকে ২৩ মে নির্ধারিত ছিল। শিক্ষকদের শ্রান্তি বিনোদন ছুটির সুবিধার্থে আগে নির্ধারিত গ্রীষ্মকালীন ছুটি ১৬ থেকে ২৩ মে’র পরিবর্তে ২৮ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত সমন্বয় করে নির্ধারণ করা হলো।
আরও বলা হয়, আগামী ২৮ জুন থেকে ৫ জুলাই গ্রীষ্মকালীন ছুটি এবং ৬ থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত ঈদুল আজহা ও আষাঢ়ি পূর্ণিমা উপলক্ষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরাসরি পাঠদান বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: ঈদের পর এসএসসি পরীক্ষা
এর আগে পাহাড়ি ঢলের কারণে উপজেলার সর্বত্রই পানি বেড়ে পানিবন্দী হয়ে পড়ায় গত মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে উপজেলার ২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়।
উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রবিউল আলম বলেন, উপজেলার বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আঙিনা, বারান্দা, বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। তাই উপজেলার ২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলার গোয়ালনগর ও চাতলপাড় ইউনিয়নের প্রায় ২০ থেকে ২২টি বিদ্যালয় পানিবন্দী হওয়ার ঝুঁকিতে আছে।
সিলেটেও বন্যার কারণে পানিবন্দী আছে অসংখ্য শিক্ষার্থী।