জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা মাদ্রাসা শিক্ষকের

সম্পত্তি ভাটোয়ারা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কোণঠাসা সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজারের মাওলানা কামালউদ্দীন নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষক। পারিবারিক কলহের রোষানলে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। 

মাওলানা কামাল উদ্দীন উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাজিতপুর গ্রামের মৃত মনোহর আলী মনুমিয়ার পুত্র। আপন ভাই এবং এক চাচাতো ভাইয়ের অত্যচার থেকে আইনী আশ্রয় চেয়ে তিনি দোয়ারাবাজার থানায় লিখিত আবেদন করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাওলানা কামাল উদ্দীনের আপন ছোট ভাই জামাল উদ্দীনের সাথে বসতভিটা এবং পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে একাধিক গ্রাম-পঞ্চায়েতও হয়েছে। তাঁর ছোটো ভাই জামাল উদ্দীনকে সেল্টার দেয় চাচাতো ভাই মিজানুর রহমান। সে দোয়ারাবাজার ডিগ্রি কলেজের অফিস সহকারী। 

মঙ্গলবার বিকেলে এক জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে মাওলানা কামাল উদ্দীন বলেন, 'আমি দুটি কওমী মাদরাসা পরিচালনা করি। একজন নিরীহ মাদরাসা শিক্ষক। আমার আপন ভাই জামাল উদ্দীন এবং তাঁর অনুগত চাচাতো ভাইদের নিয়ে আমার বসতভিটে এবং সহায় সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করার পায়তারা করছে। এ নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে অত্যচার করে আসছে। এখন আমাকে বসতভিটে ছাড়া করার পায়তারা করছে।'

তিনি আরও বলেন, আমি মাদ্রাসায় চলে গেলে আমার পরিবার অত্যচারের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় থাকে। কয়েকদিন পরপর আমি এবং আমার স্ত্রী, পুত্রকে মারধর করতে আসে। বসত ঘরের জায়গা ছেড়ে না দিলে তারা লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ, প্রাণে মারার হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। আমার জন্য ঘরের শত্রু যেন এখন বিভীষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি ভাইদের রোষানল থেকে আইনী আশ্রয় এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ ব্যাপারে দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেবদুলাল ধর বলেন, ভাইদের অত্যচারের বিরুদ্ধে মাওলানা কামাল উদ্দীন লিখত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।