ডিসেম্বরে ঢাবিতে হ্যাকাথন কোড সামুরাই প্রতিযোগিতা
- মোমেন্টস রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২২, ০১:৩৭ PM , আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০২২, ০২:৪০ PM

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ এবং কয়েকটি জাপানি আইটি কোম্পানির উদ্যোগে আয়োজন করতে যাচ্ছে হ্যাকাথন কোড সামুরাই-২০২২ প্রতিযোগিতা। আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগ ও টিএসসি অডিটোরিয়ামে প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হবে।
জাপান-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের ৫০ বছর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ বছর পূর্তি উদযাপনের লক্ষ্যে কোড সামুরাই এই বছর নতুন এই সংস্করণ নিয়ে ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছে আয়োজকরা।
আজ বুধবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়টি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. উপমা কবির, অধ্যাপক ড. মোঃ মামুনুর রশীদ, ও বাংলাদেশ জাপান জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানির (বিজেআইটি) সিওও মেহেদী মাসুদ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ (সিএসই) এবং বাংলাদেশ-জাপান ভেঞ্চার কোম্পানি বিজেআইটিসহ বেশ কয়েকটি জাপানি আইটি কোম্পানি সম্মিলিতভাবে বহুল প্রত্যাশিত হ্যাকাথন কোড সামুরাই ২০২২ আয়োজন করতে যাচ্ছে। ২০১৯ -এ এই হ্যাকাথনের যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে পরপর দু'বছর এই আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।
“পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে পরিবর্তিত হওয়ায় আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর পুনরায় উক্ত হ্যাকাথনটি আয়োজন করা হচ্ছে। কোড সামুরাই ২০২২ এর রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া আগস্টের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হয়ে সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত চলবে। মূল হ্যাকাথন ইভেন্টটি ২০ ও ২১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানের স্থান: কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং টিএসসি অডিটোরিয়াম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।”
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, হ্যাকাথন একটি বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা যা বৃহৎ আকারে কয়েকদিনব্যাপী প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এই প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতাকে অনুপ্রাণিত করার একটি দুর্দান্ত উপায়। এ ধরনের আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রস্তাবিত একটি বৈশ্বিক অথবা স্থানীয় সমস্যা সমাধানের আইডিয়া এবং তার জন্য সফটওয়্যার ভিত্তিক সমাধান খুঁজে বের করা হয়। কোড সামুরাই ২০২২-এ অংশগ্রহণকারীরা সেরকমই একটি বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানের সুযোগ পাবেন।
“আধুনিক প্রযুক্তি শিল্প বিকাশের অগ্রগতিতে এবং মানুষের জীবনধারার উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। রোবোটিক্স, ইন্টারনেট অফ থিংস (আইওটি), কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) প্রমূখ বর্তমান প্রযুক্তি নির্ভর সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই হ্যাকাথনের লক্ষ্য হল শিক্ষার্থীদের আসন্ন বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত করা যাতে তারা সমাজে আরও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। এটি তাদের ভবিষ্যত ক্যারিয়ারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।”
আয়োজকরা জানান, বন্ধুত্বের ৫০ বছর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এবারের অনুষ্ঠানটি হবে জমকালো উদযাপন। এই ইডেন্টে যোগদানের জন্য অনেকগুলো বিখ্যাত জাপানি কোম্পানি সম্পৃক্ত হয়েছে যা এই আয়োজনকে আরোও সমৃদ্ধ করবে। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের প্রতিভা প্রদর্শনের এবং শিল্প বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে ক্যারিয়ার নিবিড় ক্রসিং পেতে একটি দুর্দান্ত নেটওয়ার্কিং সুযোগ হবে।
“এছাড়াও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী শিক্ষার্থী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞগণ এবং জাপান ও বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় আইটি ব্যক্তিদের সাথে সাক্ষাৎ অংশগ্রহণকারীদের জন্য একটি অনন্য অভিজ্ঞতা যোগ করবে। সকল অংশগ্রহণকারীর জন্য রয়েছে বিশেষ স্বীকৃতি। এছাড়াও, জাপানে ইন্টার্নশীপ এবং আইটি ক্যারিয়ার বৃদ্ধির জন্য মর্যাদাপূর্ণ ব্যবস্থাও রয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জাপানের এই আইটি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে তরুণ মেধাবী আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োগ দিতে আগ্রহী। এই ইভেন্টটি জাপানি আইটি কোম্পানিগুলির সাথে সরাসরি যুক্ত হওয়ার এবং বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশি প্রতিভাদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য একটি মাইলফলক হবে। বিজেআইটি বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় অফশোর কাস্টম সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি এবং গ্লোবালজিক্সের সাথে বিজেআইটি এই ইভেন্টটিকে সফল করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগকে সার্বিক সহায়তা করবে। বাংলাদেশি আইটি পেশাদারদের আইটি উদ্ভাবনে অবদান রাখার জন্য একটি বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম পেতে আমরা একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি।