ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে ধরে শিক্ষার্থীর ফোন উদ্ধার করলেন ছাত্রলীগ নেতারা

বাসের জানালা দিয়ে কলেজ শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর সময় এক ছিনতাইকারীকে হাতে-নাতে ধরার পড় পুলিশে দিয়েছেন চট্টগ্রামের কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা। ছিনতাই হওয়া ফোনটি উদ্ধার করে মালিককে বুঝিয়ে দেন তারা।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে নগরীর জিইসি মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আটক ছিনতাইকারীর নাম মো. রবিন। তার বাড়ি নোয়াখালী জেলার চৌমুহনী এলাকায়।

তাকে হাতে-নাতে ধরে ফেলা ছাত্রলীগ নেতারা হলেন- ওমরগনি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস উদ্দিন, এমইএস কলেজ ছাত্রলীগ নেতা শাহাদাত হোসেন হিরা, বাকলিয়া কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক আজিজ রহমান, চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু সাঈদ মুন্না, সরাইপাড়া ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন ইমন এবং এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের নির্বাহী সদস্য ইরফান উল হক।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছাত্রলীগ নেতা মো. ইমাম হোসেন ইমন বলেন, আমরা জিইসি মোড়ের বাটাগলি এলাকায় মাঝে মাঝে আড্ডা দিই। মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে দেখি ২০ থেকে ২২ বছর বয়সী এক তরুণ দৌড়ে বাটা গলিতে ঢুকছে। সে সময় পেছন থেকে কয়েকজন বলছিল, চোর! চোর!

তিনি আরও বলেন, হৈ-চৈ শুনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস ভাই আমাদের দ্রুত ইশারা করে তাকে ধরতে বলেন। তখন ধাওয়া করে এমইএস কলেজ ছাত্রলীগ নেতা হীরা ভাই তাকে আটক করে। পরে মোবাইল ফোনটি নিয়ে মালিককে ফিরিয়ে দিই আমরা। ভুক্তভোগী ছাত্র দুই বন্ধুর সঙ্গে আগ্রাবাদ যাচ্ছিল। তবে মোবাইল ফোন ফেরত পাওয়ার পর নাম-পরিচয় না জানিয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।

ছিনতাইকারীকে ধরে ফেলা ছাত্রলীগ নেতা শাহাদাত হোসাইন হীরা বলেন, ইলিয়াস ভাইয়ের কথা শুনে আমি, আজিজ ভাই, মুন্না ভাই, ইরফান ভাই আর ইমাম তাকে ধাওয়া করে আটক করেছি। তৎক্ষণাৎ ওর কাছ থেকে ‘রেডমি নোট এইট প্রো’ মোবাইলটি উদ্ধার করে মালিককে ফিরিয়ে দিয়েছি আমরা। ঘটনাস্থলের আশেপাশেই সাদা পোশাকে পুলিশ ছিল, তারা এগিয়ে এলে আমরা ছিনতাইকারীকে পুলিশে হস্তান্তর করি। ভুক্তভোগী ঘটনাস্থল ত্যাগ করায় পুলিশই এ ঘটনায় মামলা করবে বলে জানিয়েছে।

খুলশী থানার উপপরিদর্শক মো আফসার উদ্দিন বলেন, জিইসি মোড়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী হাতেনাতে ওই ছিনতাইকারীকে আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেন। গতকাল রাতেই তার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। বুধবার সকালে আমরা তাকে আদালতে পাঠিয়েছি।