অবশেষে উপহারের সেই গাড়িটি হাতে পেলেন হিরো আলম
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৪:০৮ PM , আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৪:০৮ PM

অবশেষে সকল আলোচনা-সামলোচনা ও মামলার অবসান ঘটিয়ে হিরো আলমকে নিজের ৬ লাখ টাকা দামের নোহা গাড়ি উপহার হিসেবে তুলে দিলেন হবিগেঞ্জর শিক্ষক এম মুখলিছুর রহমান।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় হিরো আলম হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রীজ এলাকায় পৌঁছালে তাকে অভ্যার্থনা জানায় ভক্তরা। পরে হিরো আলম তার গাড়ি নিয়ে চলে যান শিক্ষক মুখলিছুর রহমানের বাড়ি চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি গ্রামে। সেখানে খাওয়া-দাওয়া ও আনুষ্ঠানিকতা শেষে হিরো আলমকে নিজের গাড়ির চাবি বুঝিয়ে দেন শিক্ষক মুখলিছুর রহমান। এসময় শিক্ষক মুখলিছুর রহমানের বাড়িতে হিরো আলমকে এক নজর দেখতে ভিড় জমান শত শত গ্রামবাসী ও ভক্তরা।
গাড়ি উপহার দেয়া শিক্ষক এম মুখলিছুর রহমান স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনের প্রিন্সিপাল হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি নিজেও হিরো আলমের একজন ভক্ত।
শিক্ষক মুখলিছুর রহমান এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমি ওয়াদা করেছিলাম, নির্বাচনে হিরো আলম সাহেব জয়ী হন বা না হন পরের দিন আমার বাড়িতে আসলে আমি গাড়িটি তার হাতে তুলে দেবো। কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী মহল বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার সমালোচনা করেছেন। এতে আমি খুব কষ্ট পেয়েছি। আমি সিলেটবাসীর সম্মান ক্ষুন্ন করতে দেবো না। সম্মানের সাথে আমি হিরো আলমকে গাড়িটি তুলে দিতে পেরে খুশি।’
তিনি আরও বলেন, ‘হিরো আলম ভাই আমার বাড়িতে এসেছেন আমার আর পাওয়ার কিছু নাই। পরে তিনি হিরো আলমকে জড়িয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন।
গাড়ির চাবি হাতে পাওয়ার পর হিরো আলম বলেন, আমার ভাই ভালোবেসে আমাকে গাড়ি উপহার দিয়েছেন। আমি এই গাড়ি গ্রহণ করলাম। পরে হিরো আলম গাড়িটি নিজে না নিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য অ্যাম্বুলেন্স বানিয়ে সেবা করার উদ্দেশ্য দান করে দেন। যে কোন অসহায় মানুষ এ অ্যাম্বুলেন্সের সেবা গ্রহণ করতে পারবে।
এদিকে, চুনারুঘাট আসার পথে মহাসড়কে ওভার স্পিডে তার গাড়ি চালানোর দায়ে গাড়িটির নামে ২৫০০ টাকার মামলা দেয়া হয় শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশ। পরে জরিমানা দিয়ে গাড়িটি নিয়ে আসেন হিরো আলম। বিষয়টি নিশ্চিত করেন শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি মাইনুল ইসলাম ভুইয়া।
শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাঈনুল ইসলাম জানান, শায়েস্তাগঞ্জ থানার সামনে মহাসড়কে সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। কিন্তু হিরো আলমের টয়োটা ফিল্ডার গাড়িটি ৯০ কিলোমিটার গতিতে যাচ্ছিল। এ সময় গাড়িটি আটকের পর ২৫ হাজার টাকার মামলা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বগুড়া-৪ আসনের উপ-নির্বাচনের আগের দিন ফেসবুক লাইভে এসে আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে গাড়ি উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষক এম. মুখলিছুর রহমান। এতে ফেসবুকসহ বেশ কিছু গণমাধ্যমে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা ও সমালোচনা সৃষ্টি হয়। একাধিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হিরো আলমকে গাড়িটি উপহার দিতে সেই শিক্ষক গড়িমসি করছেন বলেও উল্লেখ করা হয়। তাছাড়া হিরো আলম সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলেও হুমকি দিয়েছিলেন। যা নিয়ে গত কয়েকদিন হিরো আলম ও মুখলিছুর রহমান ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।