আমার ফ্যামিলি আমাকে বাস্তব জীবনেও অভিনয় করতে শেখায়নি: বুবলি

বুবলি
শবনম বুবলি  © ফাইল ফটো

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ইয়াসমিন বুবলি। ২০২২ সালের ৩ অক্টোবর বুবলি জানান, ২০১৮ সালের ২০ জুলাই তিনি ও শাকিব খান বিয়ে করেন। ২০২০ সালের ২১ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের লং আইল্যান্ড ইহুদি মেডিকেল সেন্টারে তাদের পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। এর পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় তাকে নিয়ে। কিন্তু তখনো তিনি কোনো কথার জবাব দেননি।

তবে আজ শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে সমালোচনাকারীদের রীতিমতো হুমকি দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

“আমি একটি কথা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই কারো নোংরা ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারে আমাকে নিয়ে বা আমার ব্যক্তিজীবন নিয়ে কেউ কোনো বেফাঁস মন্তব্য করলে বা কোনো ইংগিতপূর্ণ কথা বলার চেষ্টা করলে তার বা তাদের বিরুদ্ধে আমি দেশের প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহন করবো, কারন আমি দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

কিছুদিন পর পর যে ব্যক্তি এসব নোংরা খেলা শুরু করে বা যাদের কে দিয়ে করায় তাদের সমস্ত কিছু সোশাল মিডিয়া, পত্রিকা এবং ইউটিউবে রয়েছে যা ডকুমেন্ট হিসেবে যথেষ্ট এসবের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে।

এসব নোংরামী পাত্তা দেবার রুচি থাকেনা বলেই কথা বলা হয়না কিন্তু চুপ থাকাকে যদি সে বা তারা সুযোগ পাওয়া মনে করে তাহলে তা হবে তাদের চরম ভুল...

আশেপাশে হাজার কিছু হলেও দিন শেষে আমাকে নিয়েই এসব ব্যক্তির ব্যস্ততা এমনকি নাওয়া খাওয়া সব থাকে আমার চিন্তায়...এদেরকে response করতেও রুচিতে বাঁধে..

আর হ্যা! আমার পারিবারিক শিক্ষা আমাকে কখনই দুমুখো সাপের আচরন করতে শেখায় নি, সুবিধাবাদী হতে শেখায়নি, ধর্ম নিয়ে একেক বার একেক মিথ্যা কথা বলে সাধারন জনগনের আবেগ নিয়ে খেলা করে বোকা বানাতে শেখায় নি , গিরগিটির মত রং বদলাতে শেখায়নি, কাউকে ছুরি মেরে পরক্ষনেই নিজের কোনো সুবিধা হবে ভেবে সেই ছুরি মারা জায়গায় ব্যান্ডেজ করতে শেখায় নি, বিভিন্ন মানুষকে নিয়ে নানান টক শো তে অপমান করে কথা বলে নির্লজ্জের মত হাসতে শেখায়নি, মানুষকে অসম্মান করতে শেখায়নি, হিংসামী শেখায়নি, কাউকে মিথ্যা অপবাদ দিতে শেখায়নি, কাউকে নানান অপমান করে আবার নিজের স্বার্থে সময় বুঝে প্রশংসা করতে করতে মুখে ফেনা তুলতে শেখায় নি, বাস্তব জীবনেও অভিনয় করতে শেখায়নি, তাই আমি হয়তো আপনাদের অনেকের সাথে ইনিয়ে বিনিয়ে নাটক করতে পারিনা .. 

কিন্তু আমি এসব না শিখতে পারার জন্য গর্বিত.. কারন এসব যে পারে সে অনায়েসেই লিজেন্ড শাবানা ম্যাম এর মত এতো সিনিয়র ব্যক্তিত্ব নিয়ে অপমান জনক বেফাঁস মন্তব্য করে বসতে পারে, কঠোর পরিশ্রম করে নিজের মত এগিয়া যাওয়া নুসরাত ফারিয়া কে নিয়ে অপমান করে কথা বলে মুখটাকে বিশ্রী করে ব্যঙ্গ করতে পারে, ভালো মনের মানুষ বর্ষা আপুকে নিয়ে অপমান জনক কথা বলতে পারে, মাস্টারমেকার পরিচালক শ্রদ্ধেয় মালেক আফসারী স্যার কে নিয়ে অপমান করে কথা বলতে পারে যা কিনা রীতিমত তার পারিবারিক শিক্ষাকেই উপস্হাপন করে, এজন্যই বলে ব্যবহারই বংশের পরিচয়..

কত বাজে নিচু মানসিকতার হলে সে একজন নিষ্পাপ বাচ্চাকেও কটুক্তি করতে ছাড়েনি, কিছুদিন আগে ইংগিতপূর্ণ ভাবে আমার সন্তানের গেট আপ নিয়ে ক্যামেরার সামনে বাদরের মত মুখ ভেংচি কেটে বাজে মন্তব্য করতে ছাড়েনি..

আমি মা হিসেবে ভালোবেসে আমার সন্তানকে নিয়ে কি করবো বা আমার সন্তানের ভালোর জন্য কি করবো সেটা সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার, who the hell are you to talk about that ?

সারাক্ষণ নানান মিথ্যা বানোয়াট উস্কানীমুলক ব্যক্তি বিষয়ে কথা বলে অথচ পরে আবার বলবে সে ব্যক্তি বিষয়ে কথা বলেনা, সারাক্ষণ মানুষকে ছোট করে কথা বলবে কিন্তু পরে বলবে সে মানুষকে ছোট করে কথা বলেনা! 
How weird !
একেক সময় একেক রং ধারন করে মানুষকে ধোঁকা দেয়ার নগ্ন খেলা এসব বহুরুপী cheap mentality’র ব্যক্তিই পারে...
Shame!”

বুবলির ফেসবুক ভেরিফাইড একাউন্ট থেকে হুবহু