‘নোংরামিকে পাত্তা দেওয়ার রুচি থাকে না বলেই কথা বলা হয় না’: বুবলী

 বুবলী
  © ফাইল ফটো

জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা বুবলী শুধু সিনেমা নয়, বর্তমানে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়েও আলোচনায় রয়েছেন। শাকিব খানের সঙ্গে তার বিয়ে ও সন্তানের খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন তিনি। এদিকে অপু বিশ্বাসের সঙ্গেও তার ঠান্ডা যুদ্ধ চলমান রয়েছে। এর মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। কার উদ্দেশ্যে পোস্ট দিয়েছেন সেই নাম বুবলী প্রকাশ না করলেও পোস্টের নিচে মন্তব্যকারীরা কেউ কেউ বলছেন, পোস্টটি অপু বিশ্বাসকে উদ্দেশ্যে করে। বুবলীর স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

‘‘আমি একটি কথা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই কারো নোংরা ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারে আমাকে নিয়ে বা আমার ব্যক্তি জীবন নিয়ে কেউ কোনো বেফাঁস মন্তব্য করলে বা কোনো ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলার চেষ্টা করলে তার বা তাদের বিরুদ্ধে আমি দেশের প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব, কারণ আমি দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিছুদিন পরপর যে ব্যক্তি এসব নোংরা খেলা শুরু করে বা যাদের দিয়ে করায় তাদের সমস্ত কিছু সোশ্যাল মিডিয়া, পত্রিকা এবং ইউটিউবে রয়েছে যা ডকুমেন্ট হিসেবে যথেষ্ট এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।

এসব নোংরামিকে পাত্তা দেওয়ার রুচি থাকে না বলেই কথা বলা হয় না কিন্তু চুপ থাকাকে যদি সে বা তারা সুযোগ পাওয়া মনে করে তাহলে তা হবে তাদের চরম ভুল ... আশপাশে হাজার কিছু হলেও দিন শেষে আমাকে নিয়েই এসব ব্যক্তির ব্যস্ততা এমনকি নাওয়া খাওয়া সব থাকে আমার চিন্তায় ... এদের response করতেও রুচিতে বাধে…

আর হ্যা! আমার পারিবারিক শিক্ষা আমাকে কখনই দুমুখো সাপের আচরণ করতে শেখায়নি, সুবিধাবাদী হতে শেখায়নি, ধর্ম নিয়ে একেকবার একেক মিথ্যা কথা বলে সাধারণ জনগণের আবেগ নিয়ে খেলা করে বোকা বানাতে শেখায়নি, গিরগিটির মতো রং বদলাতে শেখায়নি, কাউকে ছুরি মেরে পরক্ষণেই নিজের কোনো সুবিধা হবে ভেবে সেই ছুরি মারা জায়গায় ব্যান্ডেজ করতে শেখায়নি, বিভিন্ন মানুষকে নিয়ে নানা টকশোতে অপমান করে কথা বলে নির্লজ্জের মতো হাসতে শেখায়নি, মানুষকে অসম্মান করতে শেখায়নি, হিংসামী শেখায়নি, কাউকে মিথ্যা অপবাদ দিতে শেখায়নি, কাউকে নানা অপমান করে আবার নিজের স্বার্থে সময় বুঝে প্রশংসা করতে করতে মুখে ফেনা তুলতে শেখায়নি, বাস্তব জীবনেও অভিনয় করতে শেখায়নি, তাই আমি হয়তো আপনাদের অনেকের সঙ্গে ইনিয়ে বিনিয়ে নাটক করতে পারি না ...

আরও পড়ুন: নিজ খরচে ১০০ ভক্তকে ভ্রমণে পাঠালেন বিজয় দেবেরকোন্ডা

কিন্তু আমি এসব না শিখতে পারার জন্য গর্বিত … কারণ এসব যে পারে সে অনায়াসেই লিজেন্ড শাবানা ম্যামের মতো এত সিনিয়র ব্যক্তিত্বকে নিয়ে অপমানজনক বেফাঁস মন্তব্য করে বসতে পারে, কঠোর পরিশ্রম করে নিজের মতো এগিয়ে যাওয়া নুসরাত ফারিয়াকে নিয়ে অপমান করে কথা বলে মুখটাকে বিশ্রী করে ব্যঙ্গ করতে পারে, ভালো মনের মানুষ বর্ষা আপুকে নিয়ে অপমানজনক কথা বলতে পারে, মাস্টারমেকার পরিচালক শ্রদ্ধেয় মালেক আফসারী স্যারকে নিয়ে অপমান করে কথা বলতে পারে—যা কিনা রীতিমতো তার পারিবারিক শিক্ষাকেই উপস্থাপন করে, এজন্যই বলে ব্যবহারই বংশের পরিচয়…

কত বাজে নীচু মানসিকতার হলে সে একজন নিষ্পাপ বাচ্চাকেও কটূক্তি করতে ছাড়েনি, কিছুদিন আগে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে আমার সন্তানের গেটআপ নিয়ে ক্যামেরার সামনে বাঁদরের মতো মুখ ভেংচি কেটে বাজে মন্তব্য করতে ছাড়েনি…

আমি মা হিসেবে ভালোবেসে আমার সন্তানকে নিয়ে কী করব বা আমার সন্তানের ভালোর জন্য কী করব—সেটা সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার, who the hell are you to talk about that?

সারাক্ষণ নানা মিথ্যা বানোয়াট উসকানিমূলক ব্যক্তিগত বিষয়ে কথা বলে অথচ পরে আবার বলবে সে ব্যক্তিগত বিষয়ে কথা বলে না, সারাক্ষণ মানুষকে ছোট করে কথা বলবে কিন্তু পরে বলবে—সে মানুষকে ছোট করে কথা বলেনা! How weird!

একেক সময় একেক রং ধারণ করে মানুষকে ধোঁকা দেয়ার নগ্ন খেলা এসব বহুরূপী cheap mentality-র ব্যক্তিই পারে ... Shame!’’