জিএমপি হেড কোয়ার্টারে নেওয়া হচ্ছে মাহিকে, পলাতক স্বামী

মাহি
  © ফাইল ফটো

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। সৌদি আরব থেকে ফেরার পথে তাকে গ্রেপ্তার করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)। তবে মাহির স্বামী রকিব সরকার পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছেন জিএমপির মিডিয়া উইং কর্মকর্তা ইব্রাহিম খান।

এদিকে গ্রেপ্তারের পর বিমানবন্দর থেকে জিএমপি উপকমিশনার (অপরাধ) আবু তোরাব মো. শামসুর রহমানের নেতৃত্বে মাহিকে জিএমপির হেড কোয়ার্টারে নেওয়া হচ্ছে।

এর আগে, শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাতে মাহি ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন বাসন থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ রোকন মিয়া।

সৌদি আরবে অবস্থানকালীন মাহি ও তার স্বামী অভিযোগ করেন, ইসমাইল ওরফে লাদেন নামে এক প্রতিপক্ষ তাদের গাড়ির শো রুম দখল করে নিয়েছে। আর এই কাজে তাকে সহযোগিতা করেছেন জিএমপি কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম। বিনিময়ে দেড় কোটি টাকা নিয়েছেন তিনি।

তবে তাদের অভিযোগের বিষয়ে জিএমপি কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম গতকালই জানিয়েছেন, ‘এই অভিযোগ ডাহা মিথ্যা। দুপক্ষের দ্বন্দ্বে পুলিশকে জড়ানোর কিছু নেই। একটি শ্রেণি দীর্ঘদিন ধরেই এই এলাকায় চাঁদাবাজি, দখলদার ও মাদক ব্যবসায় জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে জিএমপি। আর তাই তারা একজন সেলিব্রেটিকে পুঁজি করে আমাদের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ বানোয়াট অভিযোগ এনেছে। এ ঘটনায় আমি কিংবা গাজীপুর মহানগর পুলিশের সংশ্লিষ্টতার কোনো সুযোগ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘রকিব সরকার জমি দখল করে নিয়েছেন- এই মর্মে প্রতিপক্ষ গ্রুপ মামলার আবেদন করেছেন। তবে আমি জিএমপিতে যোগদানের পর কোনো পক্ষই জমির বিষয়টি আমার সামনে আনেনি। ব্যক্তিগতভাবে আমি তাদের চিনিও না। মাহির এই অভিযোগে আমি মর্মাহত।’

মাহিকে রিমান্ডে নিতে চাই পুলিশ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে রিমান্ডে নিতে চায় গাজীপুর মহানগর পুলিশ।

গ্রেফতার পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, মাহি দেশের ফেরার পর বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী প্রক্রিয়া শেষে আমরা দ্রুতই তার রিমান্ড চাইব। মাহির স্বামী রকিব সরকার এখনও পলাতক।

সাংবাদিকদের পক্ষে মাহি অন্তঃসত্ত্বা জানানো হলে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আমরা এই বিষয়ে অবগত নই; সেটা কোর্ট দেখবেন।


মন্তব্য