১৭ এপ্রিল ২০২৩, ১৪:৪৪

রোজা রেখে জন্মদিনের কেক খেয়ে ফেললেন অনন্ত জলিল

এম.এ. জলিল অনন্ত  © সংগৃৃহীত

অভিনেতা, প্রযোজক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী অনন্ত জলিলের জন্মদিন সোমবার। ১৯৭৭ সালের ১৭ এপ্রিল তার জন্ম হয়েছিল মুন্সিগঞ্জে। তাহলে কত হলো জনপ্রিয় এ ব্যবসায়ী তারকার বয়স? হিসাব বলছে, ৪৬ বসন্ত পেরিয়ে ৪৭ বছরে পা দিয়েছেন অনন্ত জলিল।

জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটার আয়োজন করেছিলেন অনন্ত জলিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কিল হিম সিনেম্র প্রযোজক ইকবাল। কেক কাটার পর মুহুর্তে ইকবাল কেক মুখে দিলে খেয়ে ফেলেন অনন্ত জলিল। কেক খাওয়ার পরে জলিল বলে ওঠেন, 'হায় হায়, আমি তো রোজা' । এসময় হাসির রোল পড়ে যায় উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে।

এই অভিনেতা-প্রযোজকের পুরো নাম এম.এ. জলিল অনন্ত। এক সাক্ষাৎকারে অনন্ত জানিয়েছিলেন, তিনি এবং তার বড় ভাই মুন্সীগঞ্জে বাবার কাছে বড় হয়েছেন। পাঁচ বছর বয়সে তার মা মারা যান।

পড়াশোনার দিক থেকে অনন্ত জলিল ও লেভেল এবং এ লেভেল করেছেন ঢাকার অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে। এরপর ম্যানচেস্টার থেকে বিবিএ এবং ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে পড়েছেন। এরপর ১৯৯৯ সালে একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।

অনন্ত জলিলের চলচ্চিত্র যাত্রা শুরু ২০১০ সালে ‘খোঁজ-দ্যা সার্চ’ সিনেমাটির মাধ্যমে। এরপর ক্রমান্বয়ে তার অভিনীত ‘হৃদয় ভাঙা ঢেউ’, ‘দ্য স্পিড’, ‘মোস্ট ওয়েলকাম’, ‘নিঃস্বার্থ ভালোবাসা’, ‘মোস্ট ওয়েলকাম ২’, ‘দিন: দ্য ডে’ ছবিগুলো মুক্তি পায়। আসছে ঈদে মুক্তি পাচ্ছে অনন্তর ‘কিল হিম’ ছবিটি।

এর আগে যতগুলো ছবিতে অনন্ত জলিল কাজ করেছেন, সবগুলোই নির্মিত হয়েছে তার প্রযোজনা সংস্থা মুনসুন ফিল্মস-এর ব্যানারে। তবে ঈদে মুক্তি প্রতিক্ষীত ‘কিল হিম’ ছবিতে তিনি প্রথমবার অন্যের প্রযোজনায় কাজ করেছেন। ছবিটি পরিচালনা ও প্রযোজনা করেছেন মো. ইকবাল। এখানে তার বিপরীতে নায়িকা যথারীতি স্ত্রী বর্ষা।

অভিনয় ও ব্যবসায়ের পাশাপাশি অনন্ত জলিল সামাজিক কর্মকাণ্ডেও জড়িত। তারই অংশ হিসেবে তিনি তিনটি এতিমখানা নির্মাণ করেছেন। মিরপুর ১০, বাইতুল আমান হাউজিং ও সাভার মধুমতি মডেল টাউনে আছে এতিমখানাগুলো। এছাড়া সাভারের হেমায়েতপুরের ধল্লা গ্রামে সাড়ে ২৮ বিঘার উপর একটি বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণের কাজও শুরু করেছেন।

অনন্ত জলিল ঢাকার হেমায়েতপুরে অবস্থিত বায়তুস শাহ জামে মসজিদের নির্মাণকাজেও অবদান রাখেন। এর বাইরে করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষ যখন ঘরবন্দি ছিল, কর্মহীন হয়ে পড়েছিল, চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট এমন বহু মানুষকে তিনি আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। সহায়তা দিয়েছেন বন্যার্তদেরও।