নির্বাচন সুষ্ঠু হলে এখানেও আমি জিতব: হিরো আলম

হিরো আলম
  © সংগৃৃহীত

এর আগে বগুড়ায় দুটি আসনেই লড়াই করেছিলেন হিরো। দুটি আসনেই হেরে যান তিনি। এবার তিনি লড়াই করছেন ঢাকার অভিজাত এলাকা বলে পরিচিত ঢাকা-১৭ আসনে।

ঢাকার গুলশান, বনানী, ভাষানটেক থানা ও সেনানিবাস এলাকা নিয়ে এই কেন্দ্র। হিরোর দাবি, নির্বাচন যদি সুষ্ঠুভাবে হয় তাহলে তিনিই জিতবেন। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ওই এলাকার ‘এলিট শ্রেণি’র লোকেরাও তাঁকে ভোট দেবেন।

প্রসঙ্গত, ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন বাংলাদেশের সিনেমার নায়ক আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক)। গত ১৫ মে তার মৃত্যু হয়। ফারুকের ওই শূন্য আসনে আগামী ১৭ জুলাই উপনির্বাচন হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার আগারগাঁওয়ের ইটিআই ভবনে রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ মুনীর হোসাইন খানের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন হিরো আলম।

বগুড়ার মতই ঢাকা-১৭ আসনেই নির্দলীয় প্রার্থী হিসাবে লড়াই করছেন তিনি। তারপরেই হিরোর দাবি, এই আসনের অভিজাত শ্রেণির লোকজনও তাঁকেই ভোট দেবেন।

গুলশান ঢাকার এলিট এলাকা হিসাবেই চিহ্নিত। তাই ওই কেন্দ্রে প্রতিটি রাজনৈতিক দল সেই রকমই প্রার্থী দেন। সেখানে হিরো আলম কতটা ভোট পাবেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

যদিও হিরোর দাবি, সেখানে ‘এলিট শ্রেণির’ বাইরেও অনেক লোক বাস করেন। তিনি বলেন, "যে এলিটের কথা, কোটিপতির কথা বলা হচ্ছে তাদের কতজন ভোটের ময়দানে আসেন? আর ওখানেই শুধু এলিট শ্রেণির লোক আছে? এর বাইরে কী কেউ নাই? শিক্ষিত লোক খালি ওই এলাকায় আছে? কড়াইলবস্তি, ভাষানটেকে কী শিক্ষিত লোক থাকেন না?"

হিরো আলম বলেন, "এলিট শ্রেণির লোকেরা কী বলেছেন যে তাঁরা আমাকে ভোট দেবেন না? কোথায় বলছে? যারা বলছে, তারা ওই আসনের ভোটারই না।" একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, সেখানে নির্দলীয় প্রার্থী হিসাবেই লড়াই করছেন তিনি। তাঁর পিছনে কোন রাজনৈতিক দলের মদত নেই।

তাঁর দাবি, "বগুড়ার দুই আসনের উপনির্বাচনে আমাকে চক্রান্ত করে হারানো হয়েছে। সেখানে হারানোর প্রতিবাদের মশাল হিসেবে এখানে ভোটে লড়াই করছি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি এখানেও জয়লাভ করব।"

এদিকে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করেছে মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে। এদিন তিনিও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন আরাফাত বলে অভিযোগ উঠে। তবে তিনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করেন।-এই সময়