নাটকে নিষিদ্ধ করা হলো টিকটকার জেবা জান্নাতকে
- বিনোদন ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৩, ০৭:৪৩ PM , আপডেট: ১৯ জুন ২০২৩, ০৭:৪৩ PM

টিকটক মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি পান এ সময়ের অভিনেত্রী জেবা জান্নাত। একপর্যায়ে অভিনয় শুরু করেন নাটকেও। প্রথমবার তাকে দেখা যায় জয়নাল হাজারীর লাইভ শো অনুষ্ঠানে। এরপরে টেলিভিশন নাটকে নিয়মিত হন জেবা। তবে সম্প্রতি অসহযোগিতা ও অসদাচরণের কারণে তাকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে টেলিভিশন নাটক নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড।
কোনো ধরনের কাজে তাকে অভিনয়ের জন্য নেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন তারা। গতকাল এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংগঠনটি। এতে বলা হয়েছে, পেশাগত কাজের ক্ষেত্রে আপনার অসহযোগিতা ও অসদাচরণের জন্য আপনার বিরুদ্ধে আনীত আমাদের সদস্য রাশেদা আক্তার লাজুকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযোগটি নিষ্পত্তিতে কোনোরূপ সহযোগিতা না করায় ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশের সদস্য অভিনয়শিল্পী হিসেবে আপনাকে টেলিভিশন ও ডিজিটাল মাধ্যমের সব ধরনের নির্মাণ কাজে নেয়া থেকে বিরত থাকবে।
তবে অভিনেত্রী জেবা জান্নাত বলছেন উল্টো কথা। তার ভাষ্যমতে, রাশেদা আক্তার লাজুকের স্বামী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন দোদুল জেবা জান্নাতকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাব গ্রহণ না করার কারণেই তার পেছনে লেগেছেন তারা। জেবা এও জানালেন, এ ঘটনা এক বছর আগের। এখন সামনে আনার উদ্দেশ্যও তিনি বুঝতে পারছেন না।
জেবা বলেন, ‘বুঝতেছি না আমি কেন নিষিদ্ধ হলাম। স্পষ্টভাবে তারা নিষিদ্ধের কোনো কারণও জানায়নি। আমি নতুন এসেছি বলেই তারা আমাকে নিষিদ্ধ করল, আর আমি নিষিদ্ধ হয়ে গেলাম!’ জেবা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘটনাটা এক বছর আগের। এত দিনে এই ঘটনাটা তারা সামনে আনলেন।
ওই সময় সাজ্জাদ হোসেন দোদুলের কয়েকটা কাজ করেছি। এর পরই ওনার ওয়াইফ লাজুক ভাবির একটা সিরিয়ালে কাজের কথা বলেন, তো আমি কাজটা করতে রাজি হই। কিন্তু কাজটা করতে গিয়ে কিছু সমস্যাও ফেইস করি। যেমন অনেক রাত পর্যন্ত শুটিং করলেও তারা আমাকে কোনো ধরনের ট্রান্সপোর্ট দিতেন না।’ এই নবাগতা বলেন, ‘ওই সময়ে নিয়ম ছিল রাত ১১টার পর শুটিং করা যাবে না।
তার পরও তারা গভীর রাত পর্যন্ত শুটিং করাতেন। ওনারা চাইলে সন্ধ্যারাতেও শুটিং করতে পারতেন। যাই হোক, প্রথম কয়েক দিন কাজ করলেও পরে ট্রান্সপোর্ট অসুবিধার কারণে আমি তাদের বলি, আমি এই কাজটা আর করতে পারব না। তো আমি দুই-তিন দিন শুটিংয়ে যাইনি। এরপর তারা আমাকে বুঝিয়ে আবারও শুটিংয়ে ফেরান এই বলে, তারা আমাকে দ্রুত ছেড়ে দেবেন। কিন্তু তারা কথা রাখেননি।’
তিনি বলেন, ‘শেষের দিকে একদিন আমার শুধু একটা দৃশ্য বাকি ছিল; কিন্তু তারা ট্রান্সপোর্ট না পাঠানোয় আমি যেতে পারিনি। এ কারণে তারা আমাকে থ্রেট দেন যে আমার মিডিয়ায় কাজ করা তারা বন্ধ করে দেবেন। এই সব কারণে আমি পরে ওনাদের সঙ্গে কাজ করা বন্ধ করে দিই।’
জান্নাত বলেন, “ওই ঘটনার পরে লাজুক ভাবির হাজব্যান্ড আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, আমি যদি ওনার সঙ্গে ফ্রেন্ডশিপ করি বা প্রেম করি তাহলে সব কিছু ঠিক করে দেবেন। তো ওনার হাজব্যান্ড যে বাজে অফার দিয়েছিলেন তা আমি অ্যাকসেপ্ট করিনি। এর পর থেকেই ওনারা ‘হাজব্যান্ড-ওয়াইফ’ মিলে আমার পেছনে লেগেছেন।”
জেবা আরও বলেন, ‘শুধু আমার সঙ্গে নয়, এমন আচরণ তারা আরো অনেকের সঙ্গেই করেছেন; কিন্তু আমি প্রতিবাদ করেছি বলে আমার বিরুদ্ধে তারা এমন অভিযোগ এনেছেন।’
উল্লেখ্য, সিদ্ধান্তটি আগামী ২০ জুন ২০২৩ থেকে কার্যকর হবে এই নিষেধাজ্ঞা। ‘পার্টনারশিপ আনলিমিটেড’, ‘রিকশাওয়ালার প্রেম’সহ বেশকিছু নাটকেও অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী।