রেকর্ড গড়েছে নিশোর ‘সুড়ঙ্গ’, ৭ দিনে আড়াই কোটি টাকার টিকিট বিক্রি

সুড়ঙ্গ
  © সংগৃৃহীত

আফরান নিশোর একটি মন্তব্যকে ঘিরে নেটপাড়ায় চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। এর মাঝেই একের পর এক রেকর্ড গড়ছে ‘সুড়ঙ্গ’। থ্রিলার ও রহস্যে ভরা সিনেমাটি দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে। সিনেমাটি দেখতে মুক্তির প্রথম দিন থেকেই দর্শক ভিড় করছেন সিনেমা হলগুলোতে। সেই ধারাবাহিকতা এখনো অব্যাহত রয়েছে। মাত্র সাত দিনে সিনেমাটি টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে নতুন রেকর্ড গড়ছে।

সিনেমার পরিচালক রায়হান রাফি বলেন, ‘মাত্র সাত দিনে সিনেপ্লেক্স থেকে “সুড়ঙ্গ” আড়াই কোটির বেশি টাকার টিকিট বিক্রি করেছে। এটা আমাদের সিনেমার জন্য দারুণ একটি খবর। এর আগে “ঢাকা অ্যাটাক”, “আয়নাবাজি”, “দেবী”র রেকর্ড ভেঙেছিল আমার “পরাণ” সিনেমা। এবার নিজের সিনেমার রেকর্ড ভেঙে দিল “সুড়ঙ্গ”। এর আগে বাংলা কোনো সিনেমার এমন রেকর্ড নেই। এ জন্য আমরা দর্শকদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই।’ ছবিটির সহপ্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চরকির পক্ষে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। 

এই সময় রাফি সিনেমার দর্শকদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের দর্শকেরা পারেন বাংলা সিনেমার দিন বদল করতে। সেটা তাঁরা “সুড়ঙ্গ” দিয়ে প্রমাণ করেছেন। দর্শক আবার হলে ফিরেছেন। বাংলা সিনেমা দেখছেন। সিনেমার টিকিট পাচ্ছেন না—এগুলো আমাদের ঢালিউডের জন্য আশার কথা। এ জন্য সব কৃতজ্ঞতা দর্শকদের। “সুড়ঙ্গ” ইতিহাসের দিকে যাচ্ছে।’

চরকি ও আলফা আই স্টুডিওজ লিমিডেটের যৌথ প্রযোজনায় সিনেমাটি মুক্তির আগেই নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আফরান নিশোর ভক্তরা নিশোর গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় ‘স্বাধীনতা কমপ্লেক্স মিলনায়তন’ ভাড়া করে অস্থায়ী সিনেমা হল প্রস্তুত করছেন। এ ছাড়া কিছু সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ গভীর রাতে সিনেমাটির শো চালিয়েছে। এ ছাড়া দেশের যেসব স্থানে সিনেমা হল নেই, তারাও সিনেমাটি দেখার জন্য ফেসবুক গ্রুপগুলোতে মন্তব্য করে আগ্রহ দেখিয়েছেন। এই আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে।

লোভ, বিশ্বাসভঙ্গ, বিচ্ছেদ, অপরাধ, হত্যা—সবকিছুর নেপথ্যে একটাই কারণ, টাকা। রায়হান রাফির ‘সুড়ঙ্গ’র গল্পকে একটা বাক্যে তুলে ধরতে বললে হয়তো এভাবেই বলতে হবে। এটা প্রেম, রোমাঞ্চ, গান, কমেডি, অ্যাকশন—সব মিলিয়ে পুরোদস্তুর বাণিজ্যিক সিনেমা। সিনেমায় আফরান নিশো ছাড়াও আরও অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, মোস্তফা মন্ওয়ার, মনির আহমেদ, অশোক ব্যাপারী প্রমুখ। একটি আইটেম গানে দেখা গেছে নুসরাত ফারিয়াকে। ছবিটির পেমেন্ট পার্টনার বিকাশ, এন্টারটেইনমেন্ট পার্টনার টিকটক ও মার্চেন্ডাইজ পার্টনার দারাজ।

উল্লেখ্য, এর আগে নিশোর একটি মন্তব্যকে ঘিরে নেটপাড়ায় আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে। নিজের বয়স বলা নিয়ে একটি প্রশ্ন করা হলে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন তিনি। নিশো বলেন, 'বয়স বলতে তো আমার সমস্যা নেই। আমি তো সো কল্ড ওই হিরো না যে, বিয়ে করে বউয়ের কথা বলব না, বাচ্চার কথা বলব না।'

এরপরই শাকিব ভক্তরা খেপে যায়। সামাজিকমাধ্যমে চলছে তুমুল প্রতিবাদ। এর অংশ হিসেবে ফেসবুক থেকে ছোটপর্দার এই অভিনেতাকে ‘আনফলো’ করার মিশনে নেমেছেন তারা। এ ছাড়া দিয়েছেন বয়কটের ডাক।

সানজিদা খান নামে শাকিবের এক নারী ভক্ত লিখেছেন, ‘কেউ যদি নিশোকে ফলো করে থাকেন তবে দ্রুত আনফলো করেন এবং নেক্সট থেকে ওর সকল কাজ নাটক-সিনেমা বয়কট করেন। আমরা তাকে সম্মান দিতে পারি না, যে আমাদের একমাত্র মেগাস্টারকে সম্মান দেয় না।’

তবে গতকাল এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিশো তার করা ওই মন্তব্যের বিষয়টি ক্লিয়ার করেন। নিশো বলেন, আগে বলা হতো নায়কের বয়স লুকানোর কথা। তার স্ত্রী-সন্তান থাকলে সেগুলোও লুকানোর জন্য বলা হতো। কারণ এতে নারীভক্ত কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। নিশো আরও বলেন, আমি আসলে ওই নায়ক বা হিরো টার্মটা ওন করি না। আমি নিজেকে অভিনেতা বলতে স্বাচ্ছন্দবোধ করি।