নিয়ম ভেঙে ‘জওয়ান’ মুক্তি দিলে দায়িত্বশীলদের ‘টেনেহিঁচড়ে রাস্তায় নামানোর’ হুংকার ঝন্টুর

সিনেমা
  © ফাইল ছবি

বিশ্বব্যাপী শাহরুখ খানের ‘জওয়ান’ মুক্তি ঘিরে উন্মাদনা বেড়ে চলেছে। ৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাবে সিনেমাটি। একই দিনে বাংলাদেশে জওয়ান মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এরই মধ্যে সেন্সর বোর্ডে জমা পড়েছে। তবে একই দিনে সিনেমাটি বাংলাদেশে মুক্তি দেওয়া নিয়ে কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছে। নিয়মবহির্ভূতভাবে সিনেমাটি মুক্তি না দিতে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ঢাকাই সিনেমার পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু।

জওয়ান বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাবে ৭ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার। আমদানিকারকেরা সেদিনই সিনেমাটি বাংলাদেশে মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে প্রযোজক সমিতির অলিখিত নিয়ম অনুযায়ী, সাধারণত বাংলাদেশে সিনেমা মুক্তি পায় সপ্তাহের প্রথম দিন, শুক্রবার। তাই বৃহস্পতিবার মুক্তি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। 

৭ সেপ্টেম্বর না হয়ে প্রযোজক সমিতির নিয়ম মেনে বাংলাদেশে যদি পর দিন অর্থাৎ ৮ সেপ্টেম্বরও জওয়ান মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়, সেখানেও রয়েছে জটিলতা। প্রযোজক সমিতির অলিখিত নিয়ম অনুযায়ী, ঈদ ছাড়া একই সপ্তাহে দুটির বেশি সিনেমা মুক্তি দেওয়ার সুযোগ নেই। 

পরিবেশক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, ৮ সেপ্টেম্বর মুক্তির তালিকায় আছে দুটি বাংলা সিনেমা। দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর ‘সুজন মাঝি’ ও মুশফিকুর রহমান গুলজারের ‘দুঃসাহসী খোকা’। এ ছাড়া দীপংকর দীপনের পরিচালনায় ‘অন্তর্জাল’ও একই দিনে মুক্তির কথা শোনা যাচ্ছে। 

এ বিষয়ে নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু জানিয়েছেন, প্রযোজক সমিতির নিয়মে আগামী সপ্তাহে শাহরুখের জওয়ানসহ অন্য সিনেমা মুক্তি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। 

৮ সেপ্টেম্বর মুক্তি প্রতীক্ষিত ‘সুজন মাঝি’ সিনেমার নির্মাতা ঝন্টু বলেন, ‘প্রযোজক সমিতির নিয়মে একই সপ্তাহে দুটির বেশি সিনেমা মুক্তি দেওয়ার সুযোগ নেই। সে হিসেবে আমি আর পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজার আবেদন করেছিলাম। তাই আমার “সুজন মাঝি” আর মুশফিকুর রহমান গুলজারের “দুঃসাহসী খোকা” সিনেমা মুক্তি পাবে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর। এই সপ্তাহে আর কোনো সিনেমা আসার সুযোগ নেই।’ 

ঝন্টু আরও বলেন, ‘এরপরও যদি নিয়মের বাইরে গিয়ে জওয়ান বা তৃতীয় কোনো সিনেমা মুক্তি দেওয়া হয়, তাহলে প্রযোজক সমিতির দায়িত্বে যাঁরা আছেন, তাঁদের টেনেহিঁচড়ে রাস্তায় নামানো হবে।’ 

দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর মতে, ‘এ দেশে হিন্দি সিনেমা চলবে না। এ দেশের মানুষ বাংলা ভাষার সিনেমাই দেখে এসেছে, তা-ই দেখবে।’


মন্তব্য