বলিউড অভেনেত্রী জেরিন খানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

বলিউড অভিনেত্রী জেরিন খানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গের একটি আদালত। ২০১৮ সালের একটি প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন কলকাতার একটি আদালত।
শিয়ালদহ আদালতের আদেশ অনুসারে অভিনেত্রীর একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কম্পানির কাছ থেকে ১২.৫ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। কলকাতায় ছয়টি সম্প্রদায়ের কালীপূজা প্যান্ডেলের উদ্বোধন করার জন্য এই অর্থ নেন অভিনেত্রী। কিন্তু নিজের প্রতিশ্রুতি রাখেননি তিনি।
শিয়ালদহ আদালতে জারিন খানের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ হয়েছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে এক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের থেকে ১২.৫ লাখ টাকা নিয়েছিলেন জারিন খান। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত ও কলকাতার ছয়টি কালীপূজার উদ্বোধন করার চুক্তি হয়েছিল।
তবে জারিনের ম্যানেজার টাকা নিলেও জারিন কলকাতায় আসেননি। বরং যেদিন কলকাতায় আসার কথা ছিল, সেদিন একের পর এক বিমানের ফ্লাইট বাতিল করে শিডিউল পেছাতে থাকেন। শুধু তা-ই নয়, ওই ইভেন্ট সংস্থার দাবি, ফোনেই জারিন খান তাদের হুমকি দেন, ‘কেন যাব বাংলায়? তোমাদের সংস্থা মুম্বাইয়ে কী করে কাজ পায়, দেখে নেব!’
২০১৮ সালের সেই প্রতারণার সেই মামলার ভিত্তিতেই কলকাতায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলো জারিন খানের বিরুদ্ধে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
এক সংবাদমাধ্যমে জেরিন খান বলেন, ‘আমি সত্য়িই হতবাক! আমি নিশ্চিত এর কোনো সত্যতা নেই। আইনজীবীর সঙ্গে কথা হয়েছে। পুরো বিষয়টা না জেনে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে সালমান খানের বিপরীতে ‘বীর’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় জারিনের। অনেকেই অভিনেত্রীর চেহারার সঙ্গে ক্যাটরিনা কাইফের মিল খুঁজে পেয়েছিলেন তখন।
তবে পরপর বেশ কয়েকটি সিনেমা করেই বলিউড থেকে প্রায় হারিয়ে যান জারিন। এরপর পাঞ্জাবি, তেলুগু ও তামিল সিনেমায়ও দেখা গেছে অভিনেত্রীকে। তবে বর্তমানে পর্দায় তাকে দেখা যায় না খুব একটা। ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই ব্যস্ত রয়েছেন অভিনেত্রী।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া