‘হা হা’ রিঅ্যাক্ট দিলে আমি ব্লক করি : জায়েদ খান

জায়েদ খান
  © ফাইল ছবি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বছরজুড়ে আলোচনায় থাকেন ঢাকাই সিনেমার নায়ক জায়েদ খান। তার নানা মন্তব্য নিয়ে ধরনের ফেসবুকে বেশ চর্চা। জায়েদের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ নিয়ে হয় ট্রল।

এসব ট্রলকে পাত্তা দেন না জায়েদ খান। বরং বিষয়গুলো তাকে আনন্দ দেয়। এমনকি ট্রলকারীদের গরু জবাই করে খাওয়াতে চান এ অভিনেতা।

সংবাদমাধ্যমে জায়েদ খান বলেন, ‘আমার অনেক ইচ্ছা একদিন তাদের গরু জবাই করে খাওয়াই। আমাকে ট্রল করে মানুষের কাছাকাছি পৌঁছে দিচ্ছেন তারা। যারা আমাকে চিনতেন না, তাদের চিনিয়ে দিচ্ছেন’।

নিজের জনপ্রিয়তার উদাহরণ দিতে সম্প্রতি তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনাও ব্যক্ত করেছেন জায়েদ। বলেছেন, ‘রামপুরা যাচ্ছিলাম। পথে আখের রস খাব। গাড়ির গ্লাস খুলতেই একজন মুরগি বিক্রেতা আমাকে দেখে চিৎকার করে বলেলেন—আরে জায়েদ ভাই না! আসতেছি আসতেছি। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম—আমাকে চিনলেন কীভাবে? সিনেমা দেখেছেন? তিনি উত্তর দিলেন, না না, মোবাইল খুললেই তো আপনাকে দেখা যায়। আমার অবস্থাটা এখন বুঝুন তাহলে।’

ট্রলের বিষয়ে জায়েদ খান আরও বলেন, ‘এতে সারা দেশে আমার পরিচিতি বেড়েছে। এসব মানুষ আমাকে নিয়ে ভাবেন, আমাকে নিয়ে চিন্তা করেন।’

ফেসবুকে তার ছবি কিংবা ভিডিও ফুটেজের নিচে হাসির রিঅ্যাক্টের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সৌভাগ্যবান ওপরওয়ালার কাছে। তারা আমাকে দেখে হাসে, কাঁদে না। দিলদার ভাই মারা গেছেন তো কী হয়েছে? হাসির ব্যাপারটা তাদের মধ্যে দিয়ে গেছেন, এ জন্য তারা আমার দেখে হাসেন।’

নিজেকে কৌতুক অভিনেতা দিলদারের সঙ্গে তুলনা করলেন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে জায়েদ খান বলেছেন, ‘আমি দিলদারের সঙ্গে তুলনা করলে কী আর সালমান শাহর সঙ্গে তুলনা করলেই কী, তারা যা করার করবে। তারা আমার সিরিয়াস কাজেও হা হা রিঅ্যাক্ট দেন। তারা কিছু না বুঝেই এমনভাবে রিঅ্যাক্ট দেন, তাদের কাজই এটি’।

তিনি আরও বলেন, ‘ওই কোথায় অজপাড়া গ্রাম। একটা চায়নিজ মোবাইল কিনেছে। আমার ছবিতে এসে একটা উপদেশ দিয়ে দিচ্ছে। হা হা রিঅ্যাক্ট দিয়ে দিচ্ছে। আমাকে একজন লিখেছে, আপনার ছবিতে প্রথম হা হা রিঅ্যাক্ট দিয়েছি। আমি লিখেছি, আপনাকেও প্রথম ব্লক মারলাম। যত হা হা রিঅ্যাক্ট আসে, ততবারই আমি ব্লক মারি। তো এসব হা হা রিঅ্যাক্ট দিয়ে লাভ কী’।

চিত্রনায়ক বলেন, ‘এসব মানুষ তো আমার কাছে বসতেও পারে না। ওদের ট্রল, হা হা রিঅ্যাক্টে আমি জায়েদ খান এগিয়ে চলেছি। ওরা যখন গ্রামে বসে ট্রল করে, হা হা রিঅ্যাক্ট দেয়, তখন আমি আমেরিকায় টাইম স্কয়ারে বসে সময় কাটাই।’

যারা হাসির রিঅ্যাক্ট দেন তাদের উদ্দেশ্যে জায়েদ আরও বলেন, ‘তোমরা ক্লোজআপ কিংবা ছাই দিয়ে দাঁত মাজো কি না জানি না। তবে এত হাসি হেসো না, কিছু জমিয়ে রাখো। তা না হলে প্রিয়জন কিংবা আপনজন মৃত্যুবরণ করলেও হাসি বেরিয়ে আসবে। এই অভ্যাস রয়ে যাবে। এসব থেকে বেরিয়ে আসো’।