অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু মারা গেছেন
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:১২ PM , আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:১২ PM

অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু মারা গেছেন। তবে কিভাবে মারা গেছেন তা নিশ্চিত নয়। হুমায়রা হিমুর মারা যাওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেছেন অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম। তার মরদেহ উত্তরার বাংলাদেশ মেডিক্যালে রয়েছে।
আহসান হাবিব নাসিম বলেন, হিমুকে উত্তররার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হিমুর মোবাইল ফোনসহ নিখোঁজ রয়েছেন তার প্রেমিক।
নাসিম আরও বলেন, আত্মহত্যা নাকি হত্যা এখনই বলা যাচ্ছে না। বিকেলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় তার ছোট বোন মিহির ও প্রেমিক। হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার মৃত্যু ঘোষণা করেন। কর্তব্যরত ডাক্তার পুলিশ কল করলে তার প্রেমিক হিমুর ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।
নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী তার ফেসবুকে লিখেছেন, প্রিয় হুমায়রা হিমু, ‘যদিও তোমার সাথে অনেকদিন কথা হয়নি, তাও এক বছর হলো। কিন্তু কাজটা তুমি একদম ভালো করোনি। ভীষন রাগ হচ্ছে ‘
তিনি আরও বলেন, ‘যত যাই হোক, জীবন একটাই আর জীবন সুন্দর। বেঁচে থাকাটা অনেক আনন্দের। আসলেই তুমি একটা অন্যায় কাজ করেছ নিজের উপর। তুমি পরিবারের কথাও ভাবলে না?একা একা চলে গেলে?? নিজে নিজেই?? এটা কেন করলে?? তারপরও পরপারে ভালো থেকো এই প্রার্থনা সব সময়।’
তার প্রথম ছবি ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ চলচ্চিত্রের গল্পটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপর ভিত্তি করে তৈরি এবং চলচ্চিত্রে তার অসাধারণ অভিনয় সমালোচকদের ইতিবাচক সাড়া পেয়েছিলেন। তিনি অনেকগুলি টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন, যেমন: ডিবি, সোনাঘাট, চেয়ারম্যান বাড়ি, বাটিঘর, শোনেনা সে শোনেনা ইত্যাদি।
২০০৫ সালে তিনি টেলিভিশন মিডিয়াতে এবং নাটকে যুক্ত হন মো: জামালউদ্দিনের নাগরিক নাট্যাঙ্গন অনস্যাম্বলে। ২০০৬-এ হুমাইরা হিমুর প্রথম নাটক ‘ছায়াবীথি’ প্রচারিত হয়। একই বছর পিআই (প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর) নামের একটি সিরিয়াল নাটকেও অভিনয় করেন। এরপরে তিনি ‘বাড়ি বাড়ি সারি সারি’, ‘হাউজফুল’, ‘গুলশান এভিনিউ’ সহ অনেক জনপ্রিয় নাটকে অভিনয় করতে থাকেন। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় নি।
হুমাইরা হিমু ১৯৮৫ সালের ২৩ নভেম্বর লক্ষীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইস্পাহানি কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। হিমু ইডেন মহিলা কলেজে ভর্তি হন এবং এ কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। মঞ্চনাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি প্রথম নাট্য জগতে প্রবেশ করেন। ফ্রেঞ্চ নামক নাট্য দলের হয়ে তিনি অভিনয় করেন। তার মামা মূর্শেদ নাটকটিতে নির্দেশনা দিয়েছিলেন।