ফিলিস্তিনিদের নিয়ে জয়া আহসানের আবেগঘন পোস্ট
- বিনোদন ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:২৯ PM , আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:২৯ PM

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নৃশংস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। তাদের অমানুষিক নির্যাতনে হতভম্ব পুরো বিশ্ব। শুধু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাই নয়, সকল পেশাজীবীর মানুষেরাই গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় নিজেদের হৃদয়কে ব্যথিত না করে পারছে না। এমন অমানুষিক ধ্বংসযজ্ঞের প্রভাব পড়েছে দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানের মনেও। তিনি গাজাবাসীকে নিয়ে লিখেছেন তার হৃদয় ব্যথিত হওয়ার কথা।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) সকালে নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের একটি ছবি শেয়ার করে জয়া লিখেছেন, ‘ফিলিস্তিনের ছবি দেখছি অনলাইনে, খবরের কাগজে, টেলিভিশনের পর্দায়। বোমা ফেলা হচ্ছে নিরীহ মানুষজনের ওপর। আক্রমণ চলছে হাসপাতালেও। একটি ছবিতে দেখেছিলাম পরিবারের সবাই মারা পড়েছেন, আর সবার লাশের সামনে বসে আছেন বেঁচে যাওয়া একজন মাত্র মানুষ। এ পর্যন্ত ১১ হাজার হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। এর মধ্যে শিশু মারা গেছে ৪ হাজারের বেশি।’
আরও পড়ুন:- ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে চতুর্মুখী সমালোচনার মুখে সেলেনা গোমেজ
এ পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনিদের পাশে না দাঁড়াতে পারার কষ্ট জয়াকে কষ্ট দিচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘এসব দেখেশুনে মনটা ভেঙে যায়। আবার মনটাকে সরিয়ে কাজে নেমে পড়ি। নতুন মুক্তি পাওয়া ছবির প্রচারে যাচ্ছি, যোগ দিচ্ছি পুরস্কারের অনুষ্ঠানে, গোয়া চলচ্চিত্র উৎসবে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর জন্য মনে অপরাধ–অপরাধও লাগে। আমার বা আমাদের জীবন তো চলছে, কিন্তু ওদের জীবন তো প্রতিটা মুহূর্তে মৃত্যুর মুখোমুখি। তাদের অসহায়তা দেখে গলাটা বুজে আসে।’
বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বানের পাশাপাশি, প্রশ্নও রেখেছেন জয়া। তিনি লিখেছেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড থামুক। শিশুরা খেলা করুক রোদেলা মাঠে, খেজুর গাছের নিচে। নিজের দেশে দেশছাড়া এই মানুষগুলো নিজেদের ঘরে ফিরুক। ওদের বাঁচানোর জন্য পৃথিবীর বড় বড় মানুষেরা কি এক হতে পারেন না? এটা কি খুব বড় প্রত্যাশা?’
প্রসঙ্গত, গত দেড় মাসে ইসরায়েলি হামলায় ১২ হাজারের মতো ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৫ হাজারের বেশিই শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ। কিন্তু আহতদের চিকিৎসার কোন ব্যবস্থাই অবশিষ্ট রাখেনি দখলদার ইসরায়েল। হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ বা অ্যাম্বুলেন্স কোনও কিছুই হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না। গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতালটিকে (আল শিফা) ‘ডেথ জোন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।