আমি নিজেকে আওয়ামী লীগের একজন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর মনে করি: ফেরদৌস
- বিনোদন ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:১৬ PM , আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:১৬ PM

‘হঠাৎ বৃষ্টি’ সিনেমা দিয়ে ওপার বাংলায় পা রাখা চিত্রনায়ক ফেরদৌসের। সিনেমাটি তাকে পশ্চিমবঙ্গে বেশ জনপ্রিয় করে তোলে। এরপর একে একে অনেকগুলো সিনেমা করেছেন বাংলাদেশি এই অভিনেতা। সিনেমা ছাড়াও রাজনীতির মাঠে তাকে বেশ সরব দেখা যায়। কয়েক বছর আগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির রাজনৈতিক প্রচারণায় গিয়ে ভারতজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছিলেন দুই বাংলার জনপ্রিয় এই অভিনেতা।
শুধু পশ্চিমবঙ্গেই নয়, বাংলাদেশের রাজনীতিতেও সরব আছেন তিনি। সারা বছরই তাঁকে দেখা যায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন জনসংযোগ কিংবা প্রচারণায়। এবার আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটির হয়ে ভোটের মাঠে লড়তে চান অভিনেতা। এরইমধ্যে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফেরদৌস জানান, তফসিল ঘোষণার পর মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরুর দ্বিতীয় দিনে অনলাইনে ঢাকার দুটি আসন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন তিনি। আসন দুটি হলো ঢাকা-১০ ও ঢাকা-১৮। ইতিমধ্যে মনোনয়ন ফরম জমাও দিয়েছেন। রয়েছেন আগামীকাল রবিবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণার অপেক্ষায়।
ফেরদৌস বললেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা রেখে আমি সবসময় বলে এসেছি, তিনি আমাকে যে আসন থেকে মনোনয়ন দেবেন, সেই আসন থেকেই নির্বাচন করব। এবং উনি যদি আমাকে মনোনয়ন না-ও দেন, তারপরও আমি তাঁর জন্য কাজ করব, আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করব; এটা আমার নিজের সঙ্গে নিজের অঙ্গীকার। এই অঙ্গীকার নিয়েই কিন্তু আমি বেশ ক’বছর ধরে তাঁর সাথে কাজ করছি। আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করছি; প্রচারণায় অংশ নিচ্ছি। আমি নিজেকে আওয়ামী লীগের একজন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর মনে করি। অভিনয়ের পাশাপাশি নৌকার প্রতীক নিয়ে দেশের এই প্রান্ত থেকে সেই প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছি। তাঁর ওপর আমার অগাধ আস্থা-বিশ্বাস।’
সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে পছন্দ করেন জানিয়ে তিনি বললেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে আমাদের জন্য করেন, এই জাতির জন্য ভাবেন—এটা আমাকে ভীষণভাবে আবেগ তাড়িত করে। নিজের হৃদয়ে এত ব্যথা নিয়েও আমদের জন্য তিনি এতো কিছু করে যাচ্ছেন, আমাদেরকে সারা বিশ্বে মর্যাদা এনে দিয়েছেন; কত কিছু করেছেন, সেসব বলে শেষ করা যাবে না। এই উন্নয়ন ও কথাগুলো আমার পক্ষ থেকে দেশের মানুষদের জানানোর চেষ্টা করেছি। হ্যাঁ, একটা জায়গা যদি দেওয়া হয়, তাহলে সেই জায়গার হয়ে মানবকল্যাণে যতটুকু করা সম্ভব—আমি করব। এমনিতেও আমার মানুষের জন্য কাজ করতে খুব ভালো লাগে। মানুষের জন্য কাজ করতে পছন্দ করি। দীর্ঘ ২৫-২৬ বছরের ক্যারিয়ারে এতদিন বিনোদনের মাধ্যমে থেকেও মানুষের জন্য কাজ করেছি, তাঁদের সেবা করেছি।’
এদিকে, ফেরদৌস হলেন ঢাকা-১৭ (ক্যান্টনমেন্ট, গুলশান, বনানী ও ভাসানটেক) আসনের ভোটার। একসময় এই আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন প্রয়াত অভিনেতা আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। তাঁর মৃত্যুর পর আসনটির উপ-নির্বাচনে জয় লাভ করেন মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ওই নির্বাচনে এই আসনে মনোয়নপ্রত্যাশী ছিলেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস। যদিও তিনি শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পেয়েছিলেন না।
এবার নিজ এলাকা ছেড়ে অন্য দুটি আসন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ফেরদৌস। এর পেছনে বিশেষ কোনো কারণ রয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঢাকা-১৭ আসনে আরাফাত ভাই আছেন। তাঁকে শ্রদ্ধা করি আমি। আর ধানমন্ডি-মিরপুর-গুলশান-উত্তরা-বনানী এই এলাকাগুলোতেই আমার বেড়ে ওঠা। কলেজ ছিল ঢাকা কলেজ। তারপর পড়েছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর উত্তরা তো আমার চিরচেনা কাজের জায়গা। এখানকার মানুষ আমাকে ভীষণ পছন্দ করেন। তাই আমি মনে করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে মনোনয়ন দেন, তাহলে এই এলাকাগুলোর মানুষের জন্য কাজ করব। সবার কাছে দোয়া চাই।’