এআর রহমানের বিকৃত সুরের ‘কারার ঐ লৌহ-কপাট’ ইন্টারনেট থেকে সরাতে হাইকোর্টের নির্দেশ

সঙ্গীত জগতের জায়ান্ট ধরা হয় তাকে। পেয়েছেন অস্কার পুরস্কারও। তবে এর পর থেকেই দিন ভালো যাচ্ছে না সঙ্গীত পরিচালক ও শিল্পী এ আর রহমানের। লন্ডনসহ কয়েক জায়গায় শো করে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। এবার কাজী নজরুল ইসলামের জনপ্রিয় গান ‘কারার ঐ লৌহ-কপাট’ কম্পোজ করে সমালোচিত হয়েছেন তিনি। তবে সমালোচনার চেয়েও বড় বিষয় ঘটলো আজ।

এ আর রহমানের সঙ্গীতায়োজনে কাজী নজরুল ইসলামের 'কারার ঐ লৌহ-কপাট' গানের রিমেক সংস্করণটি দেশের সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে ফেলতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) রুলসহ নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের বেঞ্চ এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব ও মোহাম্মদ কাওসার মানবাধিকার সংস্থা 'ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট' এবং ১০ জন আইনজীবীর পক্ষে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা হিসেবে আবেদনটি জমা দেন।

বাংলাদেশে সামাজিক মাধ্যম, ওটিটি এবং স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে 'কারার ঐ লৌহ-কপাট'-এর বিকৃত সংস্করণ অপসারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা চার সপ্তাহের মধ্যে ব্যাখ্যা চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ও সুর করা গানটি বিকৃত করেছেন এ আর রহমান।

তিনি বলেন, 'কারার ঐ লৌহ-কপাট' গানটি সব প্রজন্মের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই গানের আসল সংস্করণ এবং এ আর রহমানের সংস্করণ নিয়ে পরবর্তী প্রজন্ম বিভ্রান্ত হতে পারে।'

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মইনুল হাসান।

প্রসঙ্গত, ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানটির মূল লেখক, সুরকার ও গীতিকার বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তার এই গানটি রিমেক করেছিলেন এ আর রহমান। মূলত বলিউডের ‘পিপ্পা’ সিনেমার জন্যই গানটি নতুন আঙ্গিকে তৈরি করেছিলেন তিনি। কিন্তু প্রকাশিত হওয়ার পরই গানটিকে বিকৃত করা হয়েছে, এমন অভিযোগ তোলেন বিদ্রোহী কবির নাতি অনির্বাণ কাজী।