জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী খালিদ আর নেই

খালিদ
  © ফাইল ছবি

তুমি আকাশের বুকে বিশালতার উপমা- গানের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী চাইম ব্যান্ডের ভোকাল খালিদ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আজ সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে খালিদের মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতিকার রবিউল ইসলাম জীবন।

জানা গেছে, কয়েক বছর ধরেই হৃদরোগে ভুগছিলেন খালিদ; একাধিকবার হৃদরোগের চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। তার হৃদযন্ত্রে একটি স্টেন্ট বসানো ছিল।

ক্যারিয়ারে তুলনামূলক কম গান করলেও প্রায় সব গানেই জনপ্রিয়তা পেয়েছেন খালিদ। ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘হয়নি যাবার বেলা’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘মনে তো পড়ে মন কেঁদেছিল’র মতো অনেক জনপ্রিয় গান রয়েছে তার।

১৯৮১ সাল থেকে গানের জগতে যাত্রা করেন খালিদ। ১৯৮৩ সালে ‘চাইম’ ব্যান্ডে যোগ দেন। একের পর এক হিট গান উপহার দিয়ে অল্প সময়েই খ্যাতি পান খালিদ। তার গান এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে। ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’- এর মতো বহু জনপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়ে শ্রোতাদের হৃদয়ে জায়গা করে নেন খালিদ।

বাংলা ব্যান্ড সংগীতের আরেক তারকা প্রিন্স মাহমুদের ব্যান্ড মিক্সড অ্যালবামগুলোতে খালিদ তার গান দিয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন। প্রিন্স মাহমুদের অ্যালবামগুলোর মধ্যে খালিদের গাওয়া ‘কীভাবে কাঁদাবে’, ‘আবার দেখা হবে’, ‘নীরা’, ‘আকাশনীলা’, ‘কোন কারণেই’, ‘হয়নি যাবার বেলা’ শ্রোতা মহলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।

কণ্ঠশিল্পী খালিদের মৃত্যুতে সংগীত অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আজ রাতে গ্রিন রোড জামে মসজিদে জানাজা শেষে খালিদের মরদেহ গোপালগঞ্জে নেওয়া হবে। তাকে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হবে বলে জানা গেছে।


মন্তব্য