জনি-অ্যাম্বারকে নিয়ে কৌতুক করে সমালোচনার মুখে নতুন যে সিনেমা

জনি-অ্যাম্বার
  © সংগৃহীত

আশির দশকের টিভি সিরিজ ‘দ্য ফল গাই’র কথা মনে থাকতে পারে অনেকের। অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চারভিত্তিক এই মার্কিন সিরিজটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো সে সময়। এবার সেই ‘দ্য ফল গাই’ পর্দায় এলো চলচ্চিত্ররূপে। গতকাল বিশ্বব্যাপী মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি।

তবে ছবি মুক্তির আগেই রায়ান গসলিং ও এমিলি ব্লান্টের এই ছবির একটি সংলাপ নিয়ে চলছে তুমুল সমালোচনা। জনি ডেপ ও অ্যাম্বার হার্ডের বিষাক্ত দাম্পত্য নিয়ে সিনেমাতে কৌতুক করতে দেখা গেছে। ট্রেলারের এক দৃশ্যে ওয়াডিংহাম, যিনি মুভিতে একজন নির্বাহী প্রযোজকের ভূমিকায় অভিনয় করছেন, তিনি নির্মাতা জোডি মোরেনোকে বলেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে অ্যাম্বার ও জনি এতক্ষণ এখানে ছিল।’

এই সংলাপটি গ্রহণ করতে পারেননি জনি ডেপ ও অ্যাম্বারের ভক্তরা। স্ক্রিনিং-এ যেই দর্শকরা সিনেমাটি দেখেছেন, তারাও আপত্তি জানিয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে তারা সংলাপটি নিয়ে সমালোচনা করেছেন।

এক ‘এক্স’ ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘গার্হস্থ্য সহিংসতা কোনো কৌতুক নয়।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘একজন ভুক্তভোগী হিসাবে আমি আপনাকে বলতে পারি গার্হস্থ্য নির্যাতন কৌতুক করার বিষয় নয়। আমি এই ছবিটি সমর্থন করব না। হলিউড আরও ভাল করুক।’ 

আরেকজনের মন্তব্য, ‘বাহ, গার্হস্থ্য সহিংসতা এখন খোঁচা মারার বিষয়? জঘন্য।’ 

বেশ কিছু হলিউড পোর্টাল ‘দ্য ফল গাই’-এর ডিস্ট্রিবিউটর ইউনিভার্সাল পিকচার্সের সাথে যোগাযোগ করেছে মন্তব্য নেয়ার জন্য। কিন্তু এই বিষয়ে তারা এখনও মুখ বন্ধ রেখেছে। 

প্রসঙ্গত, ‘পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান’ সিনেমাখ্যাত অভিনেতা জনি ডেপ ও অ্যাম্বার লরা হার্ডের মধ্যে পরিচয় ২০০৯ সালে। ‘দ্য রাম ডায়েরি’ সিনেমার শুটিং সেটে তাদের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এরপর দীর্ঘ চার বছর তারা চুটিয়ে প্রেম করার পর ২০১৪ সালের মেট গালাতে বাগদান সারেন জনি ডেপ ও অ্যাম্বার হার্ড। পরের বছর লস অ্যাঞ্জেলেসে ঘরোয়া পরিবেশে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন এই জুটি। বিয়ের দেড় বছর পর জনি ডেপের বিরুদ্ধে মদ্যপ অবস্থায় তাকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে ২০১৬ সালে ডিভোর্সের আবেদন করেন অ্যাম্বার। অভিযোগ অস্বীকার করলেও ২০১৬ সালের আগস্টে ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ডিভোর্স নিষ্পত্তি করেন আদালত।

আজ পর্যন্ত অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ডিভোর্সের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয় জনি-এম্বার হার্ডের মামলাটি।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।


মন্তব্য