আরাফাতের গ্রেপ্তারে মিষ্টি বিতরণ করলেন হিরো আলম

হিরো
  © ফাইল ছবি

শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন করে আলোচনায় আসেন হিরো আলম। তিনি সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত কোথায় আছেন, সেটা জানতে চেয়েছিলেন। অবশেষে আজ মোহাম্মদ এ আরাফাতকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। 

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে গুলশান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছে ডিবি। আর এ তথ্য পাওয়ার পরপরই থানার দিকে রওনা দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ার আলোচিত-সমালোচিত ব্যক্তিত্ব হিরো আলম। 

তবে খালি হাতে যাচ্ছেন না তিনি। সঙ্গে নিয়েছেন মিষ্টি। সারা রাস্তায় মিষ্টি বিতরণ করতে করতে গিয়েছেন হিরো।

কিন্তু আরাফাতের গ্রেপ্তারে হিরো আলম কেনো খুশি? কারণ আরাফাত ও হিরো আলমের হিসাব পুরনো। 

গত বছরের ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে হিরো আলমকে হারিয়ে সংসদ সদস্য (এমপি) হন আরাফাত। ভোটগ্রহণের দিন এ সংসদীয় এলাকার বনানীতে হামলার শিকার হন হিরো আলম। 

তাঁর দাবি, তাকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছিল এবং তার আসনটি সিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।

হিরো আলম তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ইনডিপেনডেন্ট ডিজিটালকে বলেন, ‘আমি খুব খুশি। আরাফাত গ্রেপ্তার হয়েছেন। মিষ্টি নিয়ে গুলশান থানায় যাচ্ছি।’

তিনি আরো জানান, আগামীকালই আরাফাতের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যাচেষ্টার মামলা করবেন।

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে তিনি এমপি হওয়ার পর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হন আরাফাত। গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকে আত্মগোপনে চলে যান মোহাম্মদ এ আরাফাত। পরে গুঞ্জন ওঠে তিনি ঢাকাস্থ ফরাসি দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে ফরাসি দূতাবাস এ দাবি নাকচ করে।

গত ১২ আগস্ট মোহাম্মদ এ আরাফাত ও তার স্ত্রী শারমিন মুস্তারি অ্যাকাউন্ট জব্দ করার নির্দেশ দেয় আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

প্রসঙ্গত, ৫আগস্ট সরকার পতনের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাবেক মন্ত্রী–প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীদের নামে বেশ কয়েকটি হত্যা মামলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রীসভা সদস্যদের নামে গণহত্যার অভিযোগ করা হয়েছে।