অভিনেত্রীকে হয়রানি; ২ পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত

অভিনেত্রী
  © ফাইল ছবি

গত কয়েকদিন ধরেই ভারতের শোবিজ অঙ্গনে যৌন হেনস্তা ও হয়রানি নিয়ে শোরগোল চলতেছে। বিশেষ করে অভিনেত্রীরা তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া যৌন হেনস্তা নিয়ে মুখ খুলছেন।

বিভিন্ন ইস্যুতে মাঝে মধ্যেই হয়রানির শিকার হন অভিনেত্রীরা। কেউ যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন, কেউ বা আবার পুলিশের মাধ্যমেও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ছেন। এবার ভারতীয় অভিনেত্রী কাদম্বরী জেঠওয়ানিকে হয়রানির অভিযোগে ২ পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

চলতি বছর জমির বিবাদকে কেন্দ্র করে পুলিশের কাছে হয়রানির শিকার হন কাদম্বরী। এমনকি মিথ্যা তথ্য ও কাগজ দেখিয়েও অভিনেত্রী ও তার বাবা-মাকে ৪৩ দিন বিজয়ওয়ারা জেলে রাখা হয়েছিল। সেই মামলার তদন্ত পুনরায় শুরু হয়েছে।

এই মামলার জেরেই দুই পুলিশকে বরখাস্ত করেছে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। গত ১৪ সেপ্টেম্বর এই সাসপেনশন অর্ডার জারি করেন ডায়রেক্টর জেনারেল অব পুলিশ দ্বারকা তিরুমালা রাও। এ ছাড়া শিগগিরিই অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু হচ্ছে বলে জানা গেছে।

বরখাস্ত পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন, ওয়েস্ট জোন অ্যাসিসট্যান্ট কমিশনার অব পুলিশ হনুমন্ত রাও এবং ইব্রাহিমপত্তনম থানার পুলিশ অফিসার এম সত্য নারায়ণা।

মুম্বাইয়ের বান্দ্রা-কুরলা কমপ্লেক্স থানায় সজ্জন জিন্দালের বিরুদ্ধে ‘যৌন হেনস্তার’ অভিযোগ করেন কাদম্বরী। মূলত এরপরেই অভিনেত্রীকে নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। প্রথমে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় মুম্বাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। গেল বছরের ডিসেম্বরে আদালতের হস্তক্ষেপে জিন্দালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন কাদম্বরী।

তার অভিযোগ, জিন্দালের বিরুদ্ধে ‘যৌন নির্যাতনের’ মামলা প্রত্যাহারের জন্য বিভিন্নভাবে চাপ দেওয়া হয়। পুলিশ কর্মকর্তা কান্তি রানা টাটা ও বিশাল গুন্নি নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে চুপ করে দিয়েছিলেন তাকে। তাদের দেওয়া কিছু শর্তে রাজি হওয়ার পরই জামিনে মুক্তি দেওয়া হয় কাদম্বরীকে।

কিন্তু এখানেই শেষ নয়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অভিনেত্রী ও তার বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলা করেন যুবজনা শ্রমিকা রাইথু কংগ্রেস পার্টির নেতা কুক্কালা বিদ্যাসাগর। এই মামলায় কাদম্বরী ও তার বাবা-মাকে গ্রেপ্তার পুলিশ।

বর্তমানে সেই মামলার তদন্ত করছে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ। এবার বিজয়ওয়াড়ার পুলিশ কমিশনার সেন্ট্রাল ক্রাইম স্টেশন থেকে এসিপি শ্রাবন্তী রায়কে মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।