যে কারণে মিমকে কল করেন ডিবি হারুন
- বিনোদন ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২৭ PM , আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২৭ PM
ডিবিপ্রধানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিলেন মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ ওরফে ডিবি হারুন। তার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কারণে আলোচনায় থাকতেন তিনি। ডিবি অফিসে রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে তারকাদের দাওয়াত দিয়ে খাইয়ে হইচই ফেলে দিতেন। তারকারাও যে কোন প্রয়োজনে হারুনের কাছে ছুটে যেতো।
একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিমকেও ফোন করেছিলেন হারুন। এতে ঘাবড়ে যান পরাণ’খ্যাত নায়িকা। সেদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে মিম বলেন, ‘হোয়াটসঅ্যাপে কল দেখে একটু ঘাবড়ে যাই। তিনি (হারুন অর রশীদ) কেন আমাকে ফোন করবেন? ভাবতেও পারিনি যে আমার কাছে এমন একটি ফোনকল সেদিন আসবে আর বলা হবে যে ছবিটিতে অভিনয় করতে পারব না। যখন তিনি বললেন, “তোমার পরিচালক আমার সামনে বসা, ” তখন বুঝতে বাকি থাকেনি যে ছবিটা বোধ হয় আর হবে না। পরিচালক বের হওয়ার পর ফোন করে তা নিশ্চিত হই। সব মিলিয়ে মনটা খুব খারাপ হয়। শিল্পীর জীবনে চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ সব সময় আসে না। আসার পর যখন আবার তা থেকে বঞ্চিত হতে হয়, তখন মন খারাপ হয়।’
মূলত ‘আমি ইয়াসমিন বলছি’ নামে একটি সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছিলেন পরিচালক সুমন ধর। সিনেমার গল্পটি ছিল সত্য ঘটনা নিয়ে। ১৯৯৫ সালের ২৩ আগস্টের রাতে ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁওগামী বাসে দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন ইয়াসমিন নামে এক কিশোরী। বাসের স্টাফরা ভোররাতে তাকে দিনাজপুর-দশমাইল মোড়ে এক চায়ের দোকানদারের জিম্মায় রেখে অনুরোধ করেন সকাল হলে দিনাজপুরগামী বাসে তুলে দেওয়ার জন্য। তার কিছুক্ষণ পর কোতোয়ালি পুলিশের টহল পিকআপ আসে। বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে জোর করে মেয়েটিকে পিকআপে তুলে নেয়। পথে কিশোরীকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে লাশ ফেলে দেয় মহাসড়কে। সেসময় এই ঘটনা নিয়ে দিনাজপুরবাসীর প্রতিবাদ আন্দোলনে ছিল উত্তাল। এতে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান সাত আন্দোলনকারী। আহত হন দুই শতাধিক। দিনাজপুরসহ সারা দেশে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে।
সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দেওয়ার পর সুমনকে ডিবি অফিসে ডাকা হয়েছিল। সেখানে তাকে বলা হয়েছিল সিনেমাটি নির্মাণ না করতে। ডিবি থেকে আরও অনেক গল্প দেওয়ার কথাও বলা হয়। তবে হারুন যে তাকে খুব রাগী গলায় সিনেমাটি করতে না করেছেন এমন ছিল না। তার সহকারীকে ডেকে বলা হয়েছিল, আমাদের কাছে ভালো ভালো গল্প আছে, সেগুলো সুমনের সঙ্গে শেয়ার করেন। সুমন যেটা পছন্দ করবেন, সেটা করবেন। আর সুমনের যদি স্পনসর প্রয়োজন হয়, আমরা জোগাড় করে দেব।
সুমনকে সামনে বসিয়েই মিমের সঙ্গে কথা বলেছিলেন হারুন। হারুনের কারণে আটকে থাকা আমি ইয়াসমিন বলছি নামের সিনেমাটির শুটিং হবে বলে জানিয়েছেন পরিচালক।