ভাইরাল হওয়া রবীন্দ্রসংগীত শখ করে গাওয়া: হিরো আলম
জনপ্রিয় রবীন্দ্রসংগীত ‘আমারো পরানো যাহা চায়’ গেয়ে সমালোচিত হওয়ার পর এবার হিরো আলম বললেন, গানটি শখ করে গাওয়া। সেটি অফিসিয়াল কোন গান ছিল না।
যখন যে বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়া ট্রেন্ডে চলে আসে তখনই হিরো আলম সে বিষয় নিয়ে গান করেন এবং এটা খুবই সূক্ষ্মভাবে বাণিজ্যিক বলে অভিযোগ নেটিজেনদের। সম্প্রতি রবীন্দ্রসংগীত গেয়ে তুমুল সমালোচনার কবলে পড়েছেন এই আলোচিত অভিনেতা।
গানটির কারণে ট্রল হয়েছেন হিরো আলম। মামলার হুমকিও পাচ্ছেন বলেন জানালেন। তিনি বলেন, আমারো পরানো যাহা চায় গানটি তিনি তার চ্যানেল থেকে করেননি। অন্য একটি ইউটিউব চ্যানেলের জন্য করেছেন। গানটি পাবলিক থাকবে না।
‘আমি অনেক গান গাইছি; কিন্তু রবীন্দ্রসংগীত আসলে গাইনি। আপনারা যেটা দেখতেছেন, সেটা তো অল্প একটু গাইছি। এটা আসলে আমার অফিসিয়াল কোনো গান না।
আলম বলেন, একটা পিকনিকে গেছিলাম, সেখানে গাইছি। এইভাবে রবীন্দ্রসংগীত গাইলে তো আমার নামে মামলা হয়ে যাবে। আমি কেকেকে স্মরণে একটা গান গাইছি। সেটা কাল রাতেই রিলিজ হয়েছে। আপনারা সেইটা শুনতে পারেন। রবীন্দ্রসংগীত যেইটা ভাইরাল হইছে সেইটা আমি শখ করে গাইছি দুই-তিন লাইন। ওইটা অফিশিয়াল না।
'আমারো পরানো যাহা চায়’ গানের হিরো আলম ভার্সনের মিউজিক ভিডিও রয়েছে। সেখানে কিছু দৃশ্যে তাকে গিটার হাতে গানটি গাইতে দেখা যায়। হিরো আলমের গাওয়া গানের কিছু লাইন ও শব্দের সঙ্গে মূল গানের লাইন ও শব্দের মিল পাওয়া যায়নি।
বগুড়ার প্রত্যন্ত এরুলিয়া গ্রামে একসময় সিডি বিক্রি করতেন আলম। সিডি যখন চলছিল না, তখন তিনি কেবল ব্যবসা শুরু করেন। কেবল সংযোগের ব্যবসার সুবাদে গানের ভিডিও তৈরি করতে শুরু করেন তিনি। ইউটিউবে প্রায় ৫০০ মিউজিক ভিডিও প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গণমাধ্যমে আলোচনায় আসেন হিরো আলম।
ইউটিউবে হিরো আলমের এসব ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তার ভিডিও নিয়ে কৌতুক শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় তার ভিডিও নিয়ে হয় ট্রল। এরপর তিনি শুরু করেন সিনেমা প্রযোজনা ও অভিনয়। গত নির্বাচনে নিজ এলাকা থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীও হয়েছিলেন আলম। সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে দেশের বিভিন্ন টেলিভিশনের টক শোতে কথা বলার সুযোগ পান। এভাবেই নানা কারণে তিনি আলোচনায় রয়েই যাচ্ছেন।