এখনও সুঅভিনেতা হতে পারিনি : আলমগীর

ঢাকাই সিনেমায় পাঁচ দশক পেরিয়েছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আলমগীর। দেশের অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে ৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ আজীবন সম্মাননা পদক পাবার রেকর্ড নায়ক একমাত্র তার ঝুলিতে রয়েছে। তবুও আক্ষেপ তার উপলব্ধিতে। তার মতে তিনি এখনো সুঅভিনেতা হতে পারেননি; কারণ শিল্পী হওয়ার কাজটি সহজ নয়।

শুক্রবার(২৪ জুন)  পাঁচ দশক পূর্তি হওয়া উপলক্ষে মাছরাঙা টেলিভিশনের ‘রাঙা সকাল’-এ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এই উপলব্ধি ব্যক্ত করেন চিত্রনায়ক আলমগীর। দুই ঘণ্টাব্যাপী ‘রাঙা সকাল’র বিশেষ এই পর্বটি প্রচারিত হবে ২৪ জুন সকাল ৭টা থেকে ৯টায়। রুম্মান রশীদ খান ও লাবণ্য’র উপস্থাপনায় মাছরাঙা টেলিভিশনের এই আয়োজনটি প্রযোজনা করেছেন জোবায়ের ইকবাল।

আরও পড়ুন: বন্যার্তদের পাশে হানিফ সংকেত

‘আমি সিনেমা খাই, সিনেমা পান করি, সিনেমাতে ঘুমাই, সিনেমাই আমার সব।’ নিজের অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আমার জন্মভূমি’র স্থিরচিত্র রেখে দেওয়া প্রসঙ্গে কথাগুলো বলেন তিনি। এছাড়াও মোবাইল ফোনের ওয়ালপেপারে সবসময়ই ‘আমার জন্মভূমি’র স্থিরচিত্র রেখে দেন বলেও জানান তিনি। 

অগুণিত জনপ্রিয় চলচ্চিত্র দর্শকদের উপহার দেওয়া এই অভিনেতা অভিনয় জীবনের ৫০ বছর পূর্ণ করেছেন। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ অর্জনের ঝুলিতে জমা আছে সংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা। বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে ৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ আজীবন সম্মাননা পদক পাবার রেকর্ড নায়ক একমাত্র তার ঝুলিতে রয়েছে।

তবু তিনি নিজেকে নিয়ে মন্তব্য, “এখনও সুঅভিনেতা হতে পারিনি। কারণ শিল্পী হওয়া এত সহজ নয়। অভিনয়ে পূর্ণমান ১০০-তে নিজেকে পাস মার্কস দিতে রাজি; এর বেশি নয়।”

আরও পড়ুন: অনুদান পেলেন শাকিব-অপু

আলমগীর কুমকুম পরিচালিত ‘আমার জন্মভূমি’ সিনেমায় ১৯৭২ সালের ২৪ জুন অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে যাত্রা শুরু। এরপর থেকে এখন অবধি ২২৫টি বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।  ১৯৮৫ সালে প্রথম ‘মা ও ছেলে’ চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯২ টানা ৪ বছর শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি এবং এখনো সেই রেকর্ড কেউ ভাঙতে পারে নি।  পরিচালক ও প্রযোজক হিসেবেও সফল এই অভিনেতা। তার প্রযোজিত প্রথম সিনেমা ‘ঝুমকা’ এবং পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘নিষ্পাপ’। 

এই গুণী অভিনেতার পাঁচ দশক পূর্তিতে অসংখ্য অনুরাগী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।