পদ্মা সেতুর বিরোধিতাকারীদের ব্যঙ্গ করে গীতিনাট্য মঞ্চায়ন সৈকতের

আগামীকাল শনিবার (২৫ জুন) উদ্বোধন হতে যাচ্ছে  বহুল প্রতিক্ষিত পদ্মা সেতু। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথমে তিনি মাওয়ায় সুধী সমাবেশে অংশ নেবেন। এরপর টোল দিয়ে সেতুতে প্রবেশ করে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন। 

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের উৎসবের এই আমেজ সকলের কাছে পৌঁছে দিতে এবং পদ্মা সেতুকে নিয়ে যারা বিরোধিতা করেছিলো সেসকল ষড়যন্ত্রকারীদের ব্যঙ্গ করে রঙ্গরসাত্মক গীতিনাট্য পরিবেশন করেছেন ছাত্রলীগের উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক সদস্য তানভীর হাসান সৈকতের দল। 

আজ শুক্রবার (২৪ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও কমলাপুর রেলস্টেশনে এ পথনাটক পরিবেশনা করা হয়। পথে পথে ঘুরে সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া গীতিনাট্য রাজধানীর ছয় গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পরিবেশনা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে মঞ্চায়নের মাধ্যমে ইতি টানা হয়। 

দেশের খেটে খাওয়া প্রান্তিক মানুষদের তাদের অর্জিত সফলতার খবর দেওয়া এবং উদযাপনের আহ্বান করাসহ বিরোধিতাকারীদের ব্যঙ্গ করে এ গীতি নাট্য পরিবেশন করা হচ্ছে জানিয়ে তানভীর হাসান সৈকত বলেন, বাংলার স্বাধীনতার বিপক্ষে যেমন ছিলো একদল অশুভ শক্তি এবং তাদের অপরাজনীতি, সেই অশুভ শক্তির তৎপরতা স্বাধীনতার এই পঞ্চাশোর্ধ্ব সময়েও থামেনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ইস্পাত কঠিন দৃঢ় মনোবল আর প্রত্যয়ের কারণে যখন ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে নিজস্ব অর্থায়নে শুরু হলো সেতুর কাজ, এরপরও চলতে থাকলো অপশক্তিদের একের পর এক গুজবের ষড়যন্ত্র। পদ্মা সেতু বাঙালি জাতির জন্য একটা বড় অর্জন, গৌরবের দিন। উদ্বোধনের এই দিনকে স্মরণীয় করে রাখতেই নিজ অর্থায়নে সংস্কৃতিমনা শিক্ষার্থীদের নিয়ে গণমানুষের কাছে এসেছি। একটা অর্থ পদ্মা সেতুর বার্তা পৌছে দেয়া।

তিনি আরও বলেন, তারই সাহসীকতার ফলশ্রুতিতে আজ পদ্মার বুকে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে আমাদের প্রাণের পদ্মা সেতু৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইস্পাত কঠিন মনোবল নিয়ে এদেশের সার্বিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির চাকাকে অধিকতর সচল রাখতে বিরামহীন কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করে চলেছেন। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য তিনি সম্ভাব্য সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে যাচ্ছেন; সুনিপুণ দক্ষতার সাথে একের পর এক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন দেশের ইতিহাসে তেমনি এক অবিস্মরণীয় অর্জন, যা আমাদের সামগ্রিক অর্থনীতি-যোগাযোগ ব্যবস্থা-জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে এবং নগরায়নে রাখবে অনন্য ভূমিকা।