‘হাওয়া’ সিনেমা এবার আদালতেও
- বিনোদন মোমেন্টস
- প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২২, ১০:৩৬ AM , আপডেট: ১২ আগস্ট ২০২২, ১০:৪১ AM

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে সিনেমাটির বিরুদ্ধে। আইন লঙ্ঘন হওয়ায় ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রের প্রদর্শন বন্ধ চায় পরিবেশবাদী ৩৩টি সংগঠন। তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সিনেমাটি দেখেছে বন অধিদফতরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সে দুপুর ২টার শো-তে সিনেমাটি দেখেছেন তারা।
শো শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছেন বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের সদস্যরা। বন অধিদফতরের ওয়াইল্ডলাইফ ইন্সপেক্টর অসীম মল্লিক বলেন, ‘সিনেমাটি আমরা দেখেছি। এখানে একটি শালিক পাখি দেখানো হয়েছে। কিন্তু যেটা খাওয়া হয়েছে সেটি আসলে শালিক পাখির মাংস কি না, তার তদন্ত প্রতিবেদন অধিদফতরে পাঠাব। এটি সত্যিকারের পাখি। বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিরাপত্তা আইন এখানে লঙ্ঘন হয়েছে।’
সিনেমাটির অনুমতি দিয়ে সেন্সর বোর্ড বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ভঙ্গ করেছেন কি না–এমন প্রশ্নের উত্তরে বণ্যপ্রাণী অপরাধ দমন অধিদফতরের বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথিন্দ্রকুমার বিশ্বাস বলেন, সেন্সর বোর্ড কী করেছে সেটা আমাদের কর্তৃপক্ষ বুঝবে। আমরা সিনমাটি দেখে আমাদের কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করব। তারপর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তবে চলচ্চিত্রটির নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন বলছেন, চলচ্চিত্রের দৃশ্যায়নে সংরক্ষিত বন্যপ্রাণী অপরাধের বিষয়ে কোনো ধরনের অভিযোগ পাননি তারা। কোনো ধরনের আইন লঙ্ঘনও করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, “এটা একটা ফিকশনাল ওয়ার্ক। এখানে কোনো বন্যপ্রাণী হত্যা করা হয়নি। দৃশ্যায়নের প্রয়োজনে এখানে বিকল্প ব্যবহার করা হয়েছে।”
সুমন বলেন, সিনেমা শুরুর আগেই ‘ডিসক্লেইমারে’ বিষয়টি বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কীভাবে এ দৃশ্য শুটিং করা হয়েছে। এখানে কোনো বন্যপ্রাণী হত্যা করা হয়নি।
বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের ৩৮(১) ধারায় বলা আছে, কোনো ব্যক্তি তফসিল ১ ও ২-এ উল্লিখিত কোনো পাখি বা পরিযায়ী পাখি হত্যা করলে তিনি অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবে। এ অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ১ বছর কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে।