এক টেবিলে বসে সমঝোতায় মিশা-অনন্ত

বিনোদন
মিশা সওদাগর এবং অনন্ত জলিল  © ফাইল ফটো

ঢালিউডে গত কোরবানি ঈদ থেকেই শুরু হয়েছে কথার লড়াই। কেউ যেন কাউকে এক ইঞ্চি ছেড়ে দেবেন না। আবার একই সিনেমায় কাজ করেও যুদ্ধে জড়িয়েছেন মিশা-জলিল। শুরুটা করেছিলেন মিশা ই। সেই শুরুর জবাব দিয়েছেন জলিল-বর্ষা একসাথে। তবে সবকিছুর অবসান ঘটাতে একই টেবিলে বসে আলোচনা করেছেন মিশা এবং অনন্ত জলিল। 

দুজনকে মিলিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেন চলচ্চিত্র প্রযোজক মো. ইকবাল। গতকাল শুক্রবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর পাঁচতারকা হোটেলে অনন্ত-মিশাকে নিয়ে এক টেবিলে বসেন ইকবাল। সেখানে তারা দুজনেই একে অন্যের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। মিশা সওদাগর জানান, ‘অনন্ত জলিলের সঙ্গে আমার সম্পর্ক কখনও খারাপ ছিল না। এমনকি তার সঙ্গে মনের দূরত্বও ছিল না। ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে কিছু কথা বলেছিলাম, তাকে নিয়ে নয়। তিনি খুবই ভালো মানুষ। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর দারুণ একটা গুণ আছে তার।’

একটি সাক্ষাৎকারে মিশা সওদাগর বলেন, শত কোটি টাকা দিয়ে অনন্ত জলিলের ‘দিন-দ্য ডে’ নির্মাণ করা হয়েছে। এতে দর্শক হয়তো বিনোদন পেয়েছে, কিন্তু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির তো কোনো লাভ হয়নি। এত বড় অঙ্কের টাকা দিয়ে তিনি (অনন্ত জলিল) ফিল্ম স্টুডিও, প্রোডাকশন হাউস, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বানালে মেধাবী নির্মাতা ও যোগ্য শিল্পী কলাকুশলীরা কাজ করতে পারবেন। এতে অনন্ত জলিল ‘কালচারাল ইমপোর্টেন্ট পারসন’ এবং চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি হয়ে উঠতে পারবেন।

মিশার এমন মন্তব্যের জবাবে অনন্ত জলিল বলেন, মিশা সাহেবের কথাগুলো সত্যিই আপত্তিকর। তার মুখে এসব মানায় না। তিনি প্রযোজকও না, ক্রিয়েটিভ পার্সনও না। তার দ্বারা সিনেমার উন্নতি হয় না। যার কোনো ধরনের ইনভেস্টমেন্ট নেই, যার নতুন ক্রিয়েটিভিটি নেই তার দ্বারা চলচ্চিত্রের উন্নতি হবে কীভাবে? তার এ ধরনের কথা বলার যোগ্যতা নেই।