কলকাতার ডন হুব্বা শ্যামলের চরিত্রে মোশাররফ করিম
- বিনোদন মোমেন্টস
- প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০২:৫২ PM , আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০২:৫২ PM

ওপার বাংলায় বিশেষ করে কলকাতায় মোশাররফ করিমের একটা বিশাল সমর্থক গোষ্ঠী আছে। শুধু তাই নয়, তাদের ফেসবুক কার্যক্রমও বেশ লক্ষনীয়। মোশাররফ করিম কলকাতায় পা রাখলেই ব্বিভিন্ন আয়োজন করেন তারা। মোশাররফ করিমের ভক্ত সমর্থকদের জন্য আরও একটি বড় চমক আসছে খুব দ্রুতই। 'ডিকশনারি'র পর আবারও কলকাতার সিনেমায় যুক্ত হচ্ছেন তিনি। এই সিনেমারও পরিচালনা করবেন ব্রাত্য বসু।
শ্যামল দাস, ওরফে হুব্বা শ্যামল ছিলেন কলকাতার শিল্পাঞ্চলের 'ত্রাস'। কারখানায় দিনমজুরের কাজ করতেন, চাকরি হারানোর পর ছিঁচকে চুরি দিয়ে অপরাধের জগতে হাতেখড়ি, তবে কুখ্যাতি পেয়েছিলেন ডাকাতির কারণে। কোনোকিছু না ভেবেই অপরাধে জড়িয়ে পড়তেন, এজন্য লোকে তার নাম দিয়েছিল 'হুব্বা শ্যামল'।
আশি এবং নব্বইয়ের দশকে শ্যামলের প্রধান কাজ ছিল শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন বন্ধ কারখানা থেকে মাল লুট করা। এরপর সে শুরু করে প্রোমোটারি এবং জমির দালালি। হুগলি জেলার রিষড়া এবং কোন্নগর এলাকার বহু ফ্ল্যাটবাড়ির পিছনেই রয়েছে হুব্বার ‘হাত’। তার মাস্তানি হুগলির সীমানা ছাড়িয়ে হাওড়া এবং দুই চব্বিশ পরগনাতেও ছড়িয়ে পড়েছিল। শ্যামলের বাড়বাড়ন্তের পিছনে রাজনৈতিক মদতও ছিল। কয়েকশো যুবককে নিয়ে সে গড়েছিল তার দল। তাদের সবাইকেই মাসিক মাসোহারা দিতো শ্যামল।
কয়েক দফায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলেও, প্রতিবারই দাপট দেখিয়ে জেল থেকে বেরিয়ে এসেছে শ্যামল। তার নামে চল্লিশটিরও বেশি মামলা ছিল। ২০১১ সালে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হাতে খুন হয় শ্যামল। তার পচা-গলা লাশ উদ্ধার করা হয় ডোবা থেকে। পুলিশ থেকে রাজনীতিবিদ- কাউকেই তোয়াক্কা করতো না শ্যামল, একারণে অনেকেই তাকে ডাকতো 'পশ্চিমবঙ্গের দাউদ ইব্রাহিম' নামে। সেই হুব্বা শ্যামলের জীবনী নিয়ে সিনেমা বানাচ্ছেন নির্মাতা ব্রাত্য বসু, আর শ্যামলের চরিত্রটি পর্দায় নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য তিনি ভরসা রাখছেন মোশাররফ করিমের ওপর। এর আগে একই নির্মাতার 'ডিকশনারি' সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন মোশাররফ।