এস ডি বর্মনের পৈত্রিক ভিটা কুমিল্লায় যা হতে যাচ্ছে

বিনোদন
সচিন দেব বর্মনের কুমিল্লার পৈতৃক বাড়ি  © ফাইল ফটো

আর ডি বর্মনের বাবা সচিন দেব বর্মন। ১৯০৬ সালে কুমিল্লার দক্ষিণ চার্থা গ্রামের রাজবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত কুমিল্লার বাড়িতে কাটিয়েছিলেন। বিশিষ্ট আইনজীবী গোলাম ফারুক (ইতিহাসবিদ) এই সঙ্গীতশিল্পীর জীবন নিয়ে লেখা ৫৯৬ পাতার একটি বইয়ের সম্পাদনা করেছিলেন৷ তাঁর কথায়, ‘সেতারবাদক বাবার ছত্রছায়ায় এই শিল্পীর সঙ্গীত আরও সমৃদ্ধ হয়েছিলেন৷ কুমিল্লা জেলা স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন সচিন দেব ৷ ১৯২৪ সালে ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক হন ৷’

ত্রিপুরার রাজ পরিবারের বংশধর ছিলেন সচিন দেব বর্মনের বাবা। বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই প্রাসাদ যেখানে সঙ্গীত গুরুর জন্ম এবং বেড়ে ওঠা, ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর একটি সুরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভ হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১২ সালে আগরতলা সফরে গিয়ে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে লেখক ও শিল্পীদের একদল প্রতিনিধিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ওই প্রাসাদটির সংরক্ষণ করা হবে। এমনকি সেখানে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও মিউজিয়াম গড়ে তোলা হবে।

কাজি নজরুল ইসলামের ১১৬তম জন্মবার্ষিকীতে ২০১৭ সালের মে মাসে কুমিল্লা সফরে গিয়ে সাতটি প্রকল্পের আশ্বাস প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৷ তারই মধ্যে একটি ছিল 'সচিন দেব বর্মন কালচারাল কমপ্লেক্স'। ই প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশ সরবারের তরফে ১.১০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। ফারুক জানিয়েছেন যে, ৭ একর জমির উপর গড়ে উঠেছে ওই প্রাসাদ ৷ 'সচিন কর্তা' নামে পরিচিত দেব বর্মণ ১৯২৪ সাল পর্যন্ত কুমিল্লায় থাকতেন। 

মুম্বইতে দেব বর্মনের প্রথম বড় সাফল্য আসে ১৯৪৭ সালে ‘দো ভাই’-এর মাধ্যমে। পিয়াসা, কাগজ কে ফুল, গাইড, অভিমান এবং মিলি সহ বেশ কয়েকটি আইকনিক ছবির জন্য সঙ্গীত রচনা করেছেন। বাংলার আধা-ধ্রুপদী ও লোকশৈলীতেও তিনি গান গেয়েছেন। সঙ্গীতে অবদানের জন্য এই উস্তাদকে ১৯৬৯ সালে পদ্মশ্রী দেওয়া হয়েছিল।