দেশে প্রথম মরণোত্তর দান করা কিডনি প্রতিস্থাপন
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০৪:২৮ PM , আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০৪:৩৫ PM

বাংলাদেশে প্রথমবারের মত ‘ব্রেইন ডেড’ মানুষের কিডনি দুজন কিডনি আক্রান্তের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। যাদের শরীরে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, তারা ভালো আছেন বলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
গতকাল বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সার্জনরা ব্রেন ডেড এক রোগীর দুটি কিডনি দুজন পৃথক কিডনি রোগীর শরীরে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করেছেন।
ক্লিনিক্যালি ডেড ঘোষণা করা ২০ বছর বয়সি রোগী সারা ইসলামের কাছ থেকে কিডনি নেন চিকিৎসকেরা। ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন ওই রোগীর অঙ্গ দানে তার মা সম্মতি দিয়েছিলেন।
এই কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট পদ্ধতিতে। এতে ক্লিনিক্যালি ডেড বা ব্রেইন ডেড রোগীর কিডনি নিয়ে অন্য রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেনাল ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলালের নেতৃত্বে একটি দল দুজনের শরীরে সফলভাবে এই কিডনি প্রতিস্থাপন করেন।
একটি কিডনি দেওয়া হয়েছে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন ৩৪ বছর বয়সী এক নারীকে। অপর কিডনি পেয়েছেন জাতীয় কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩৯ বছর বয়সী এক নারীর শরীরে।
বিএসএমএমইউয়ের ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল বলেন, আমাদের দেশে এই প্রথম এমন ট্রান্সপ্লান্ট করা হলো। কিডনি প্রতিস্থাপন করা দুজন রোগীই ভালো আছেন।’
বাংলাদেশে ১৯৮২ সালে জীবিত দাতার কাছ থেকে কিডনি প্রতিস্থাপন শুরু হয়। তবে ব্রেন ডেড রোগীর কিডনি নেওয়ার বিষয়ে আইনি সীমাবদ্ধতা ছিল। ২০১৮ সালে আত্মীয়দের সম্মতিতে ব্রেন ডেড রোগীর অঙ্গ সংগ্রহের অনুতি দিয়ে অঙ্গ দান আইন সংশোধন করা হয়।